ক্রুদের সঙ্গে অসদাচরণ করেছিলেন অভিযোগ তুলে ভারতীয় এয়ার লাইন ভিস্তারার একটি ফ্লাইটে ইতালির এক নারীকে তার আসনের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল।
ওই নারী আবু ধাবি থেকে ভিস্তারার একটি ফ্লাইটে ভারতে আসেন। সোমবার ভারতে পৌঁছানোর পর মুম্বাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে অবশ্য তিনি জামিনে মুক্তি পান বলে জানায় বিবিসি।
যদিও ওই নারীর আইনজীবী তার মক্কেলের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ ‘মিথ্যা গল্প’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
ভিস্তারা কৃর্তপক্ষ বলেছেন, ওই নারী ‘ক্রমাগত অসদাচরণ এবং নৃশংস ব্যবহার করছিলেন’ বিধায় তাদের কর্মীরা তাকে আটকাতে বাধ্য হন।
সম্প্রতি ভারতে বিমান যাত্রীদের ফ্লাইটে অসদাচরণের বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং সেগুলো নিয়ে তদন্ত চলছে।
এ মাসের শুরুতে এয়ার ইন্ডিয়ার নিউ ইয়র্ক থেকে আসা একটি ফ্লাইটে বিজনেস ক্লাসে এক ভারতীয় যাত্রী তার পাশের আসনে বসা একজন বিদেশি নারী যাত্রীর গায়ে প্রসাব করে দেওয়ার ঘটনা বেশ হইচই ফেলেছিল। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
তারপর থেকে বিদেশে পরিচালিত ভারতীয় ফ্লাইটে এ ধরণের বেশ কিছু ঘটনার খবর প্রকাশ পায়।
দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলে হয়, ভিস্তারার কর্মীরা পুলিশের কাছে এই অভিযোগ করেন যে ওই নারী যাত্রী তাদের এক সহকর্মীকে ঘুষি ও চড় মেরেছেন।
তারা অভিযোগে আরো জানান, ওই নারী ইকোনোমি ক্লাসের জন্য টিকিট কাটলেও ফ্লাইটে ওঠার পর বিজনেস ক্লাসের আসনে বসার জন্য জেদ করতে থাকেন। যাতে বাঁধা দেন একজন ক্রু।
এতেই ওই নারী ক্ষিপ্ত হয়ে ‘নগ্ন হওয়ার এবং প্লেনের ভেতর ময়লা ফেলতে থাকেন’।
‘‘বাধ্য হয়ে ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন একটি সতর্কতা কার্ড জারি করেন এবং তার আচরণের কারণে তাকে বেঁধে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।”
এদিকে ওই নারীর আইনজীবী প্রভাকর ত্রিপাঠি বিবিসিকে বলেন, তার মক্কেলকে ফ্লাইটে যে আসনটি দেওয়া হয়েছিল তাতে তার ‘অস্বস্তি হচ্ছিল’।
‘‘যে কারণে তিনি ক্রুদের তাকে অন্য একটি খালি আসন দেওয়ার অনুরোধ করেন এবং সেটা নিয়ে একজন ক্রুর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়।
‘‘কোলাহলের কারণে তাকে এমনকি ওয়াশরুমেও যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। পরে অবশ্য তাকে ওয়াশরুমে যেতে দেওয়া হয় এবং সেখান থেকে ফেরার পর তাকে আবারও আসনের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।”
স্থানীয় কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে ওই নারী মদ্যপ ছিলেন বলে খবর প্রকাশ করে। যা অস্বীকার করেন আইনজীবী প্রভাকর।
মুম্বাই পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ওই নারীকে অসদাচরণের কারণে আটক করা হয়েছিল।
‘‘আমরা তাকে একটি নোটিস দিয়ে আদালতে হাজির করেছিলাম। পরে তাকে চলে যেতে দেওয়া হয়।”