পানামা খালে চীনের প্রভাবের সমাপ্তি ঘটাতে পানামা অবিলম্বে পদক্ষেপ না নিলে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে- বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও।
Published : 03 Feb 2025, 05:38 PM
পানামা খালের ওপর চীনের প্রভাব এবং নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ করে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এই প্রভাবের সমাপ্তি ঘটাতে পানামা যদি অবিলম্বে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
প্রথম বিদেশ সফরে শনিবার প্রথম পানামা সিটিতে যান রুবিও। তার সঙ্গে বৈঠকের পর পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো জানিয়েছেন, তিনি চীন ও চীনা ব্যবসার সংশ্লিষ্ট চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করবেন।
অভিবাসী নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও সহযোগিতা করার কথা বলেছেন তিনি। তবে তিনি এও মনে করিয়ে দেন যে, বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম জলপথটির ওপর তার দেশের সার্বভৌমত্ব কোনও আলোচনার বিষয় নয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, ট্রাম্পের বার্তা পৌঁছে দিয়ে রুবিও বলেছেন, পানামা খালের প্রবেশদ্বারের কাছে হংকং-ভিত্তিক কোম্পানির দুটো বন্দর পরিচালনার মাধ্যমে চীনা উপস্থিতি এই জলপথের জন্য হুমকি এবং এটি যুক্তরাষ্ট্র-পানামা চুক্তিরও লঙ্ঘন।
ট্যামি ব্রুস বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী (রুবিও) স্পষ্ট করেই বলেছেন যে, এ স্থিতাবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। আর এখনই এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে রুবিও নির্দিষ্ট করে বলেননি যে, পানামাকে চীনের প্রভাব ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নিতে হবে বা তারা এ ব্যবস্থা না নিলে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা কী পদক্ষেপ নিতে পারে।
গতবছর নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর থেকেই পানামা খাল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন ট্রাম্প। গত ২০ জানুয়ারি অভিষেকের ভাষণেও তিনি খাল নিয়ে নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
পানামা খাল নির্মাণ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমে এ খালের নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকলেও পরে ১৯৯৯ সালে একটি চুক্তির আওতায় পানামা সরকারের হাতে খালটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
পানামা এই খালে চীনকে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ ট্রাম্পের। পানামা এই খাল ঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে পনামা খাল নিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনাও ট্রাম্প উড়িয়ে দেননি।
লাতিন আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু ও শত্রু উভয়ই ট্রাম্পের এ অবস্থানের সমালোচনা করেছে।