গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আরও আলোচনা হওয়ার আগে দিয়ে ইসরায়েলে বিশাল এই বিক্ষোভ হল। বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধবিরোধী স্লোগান দিয়েছে।
Published : 05 May 2024, 06:22 PM
জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার জন্য একটি চুক্তির দাবিতে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত ইসরায়েলে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আরও আলোচনা হওয়ার আগে দিয়ে ইসরায়েলে বিশাল এই বিক্ষোভ হল।
রাজধানী তেল আবিবে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধবিরোধী স্লোগান দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
শনিবার মিশরে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের একটি প্রতিনিধিদল যুদ্ধবিরতির উদ্যোগের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলে এই বিক্ষোভ হল।
হামাস বলেছে, আলোচনায় এখন পর্যন্ত নতুন কোনো অগ্রগতি নেই। তবে রোববার নতুন দফা আলোচনা শুরু হবে।
মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচকরা জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ইসরায়েলের হামলা থামানো নিয়ে কায়রোয় পুনরায় আলোচনা শুরু করেছেন। চুক্তিটি অস্থায়ী নাকি স্থায়ী হবে, তা নিয়েই আলোচনা থমকে আছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
লড়াইয়ে ৪০ দিনের বিরতিতে জিম্মিদের মুক্তি এবং এর বিনিময়ে ইসরায়েলের জেলে থাকা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি নিয়ে এই চুক্তির আলোচনা চলছে বলে মনে করা হচ্ছে।
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ের উপদেষ্টা বলেছেন, সর্বশেষ প্রস্তাবটি ‘আন্তরিকভাবে’ খতিয়ে দেখছেন তারা। তবে যে কোনও চুক্তির ক্ষেত্রেই গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধের শর্ত পূরণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে বলে ফের দাবি জানান তিনি।
ওদিকে, বিবিসি-র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের এক মন্ত্রী বলেছেন, হামাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। গাজার রাফাহ নগরীতে হামাসকে নির্মূল করতে হামলা চালানোর জন্য নেতানিয়াহু তার সরকারের কট্টর-ডাপন্থিদের কাছ থেকে চাপে আছেন।
ওদিকে, গত শনিবার ইসরায়েলে যে বিক্ষোভ হয়েছে, তা ছিল জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি করতে নেতানিয়াহু সরকারের ওপর অভ্যন্তরীন চাপ বাড়তে থাকার সর্বশেষ নিদর্শন। জিম্মিদের ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনা নিয়েও চাপের মুখে আছেন নেতানিয়াহু।
গতবছর ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালানোর পর ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে ১২৮ জন এখনও হামাসের হাতে বন্দি আছে। তাদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জন মারা গেছেন বলে ধারণা করা হয়।