রাশিয়ার কুর্স্কে ইউক্রেইন বিস্ময়কর হামলা শুরু করার পর থেকে এই প্রথমবারের মতো এ ধরনের বিনিময় হল।
Published : 25 Aug 2024, 12:15 AM
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় শনিবার রাশিয়া ও ইউক্রেইন উভয়েই নিজ নিজ পক্ষ থেকে ১১৫ জন করে যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছে।
৬ অগাস্ট রাশিয়ার কুর্স্কে ইউক্রেইন বিস্ময়কর হামলা শুরু করার পর এই প্রথমবারের মতো এ ধরনের বিনিময় হল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরে কোনো বিদেশি শক্তির এটিই সবচেয়ে বড় আক্রমণের ঘটনা।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে রাশিয়ার যে সেনাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে তাদের কুর্স্ক অঞ্চল থেকে আটক করেছিল ইউক্রেইনীয় বাহিনী। মুক্তি পাওয়া এই সেনাদের সবাই এখন বেলারুশে আছেন। তারা রাশিয়ার ফেরার পর তাদের প্রথমে চিকিৎসা দেওয়া হবে ও পরে পুনর্বাসন করা হবে।
এই বন্দি বিনিময়ের ব্যবস্থা করার জন্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরব আমিরাতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মুক্তি পাওয়া ইউক্রেইনীয় বন্দিদের একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায় তারা ইউক্রেইনের জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করছেন।
তিনি জানান, যে সব সেনারা ফিরে এসেছেন তারা সীমান্ত রক্ষা বাহিনী, ন্যাশনাল গার্ড, নৌবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য।
ইউক্রেইনের মানবাধিকার কমিশনার দিমিত্রো লুবিনেটস জানান, যারা ফিরে এসেছেন তাদের মধ্যে ৮২ জন ২০২২ সালে মারিউপোল বন্দরের দখল ধরে রাখার জন্য লড়াই করেছিলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে ব্যবস্থা করার কথা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা শুরু করার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে বিনিময় করা যুদ্ধবন্দির সংখ্যা এখন ১৭৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
রাশিয়া ইউক্রেইনে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে এই নিয়ে আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় সপ্তমবারের মতো লড়াইরত দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবন্দি বিনিময় হল।
সংযুক্ত আরব আমিরাত যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা মিত্র হলেও রাশিয়ার সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এতে পশ্চিমা অনেক কর্মকর্তাই হতাশ হয়েছেন বলে জানাচ্ছে রয়টার্স।
রাশিয়ার পাশাপাশি ইউক্রেইনের সঙ্গেও মিত্রতা জোরদার করেছে ইউক্রেইন।