ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কফ সিরাপ রপ্তানির আগে সরকারি গবেষণাগারে পরীক্ষা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
ভারতের নিউজ ওয়েবসাইট নিউজ১৮ডটকম মঙ্গলবার একথা জানিয়েছে।
ভারতের তৈরি কফ সিরাপ গত বছর গাম্বিয়া এবং উজবেকিস্তানে কয়েক ডজন শিশুর মৃত্যুর কারণ হওয়ার পর এমন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন (সিডিএসসিও) এর কাছ থেকে এ মাসে ওষুধ পরীক্ষার এ প্রস্তাব পেয়েছে এবং প্রস্তাবটি ভেবে দেখছে বলে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে সংবাদ ওয়েবসাইটটি।
তৈরি ওষুধ সরকারি ল্যাবরাটরিতে পরীক্ষার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানায় নিউজ১৮ডটকম।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, ফেডারেল সরকার কিংবা রাজ্যের বিভিন্ন ল্যাবরাটরিতে সিরাপ পরীক্ষা করা হবে।
তাছাড়া, রপ্তানিকারকদেরকে অনুমোদনপ্রাপ্ত ল্যাবরাটরি থেকে রপ্তানি করা পণ্যের জন্য সার্টিফিকেট অব এনালাইসিস তৈরি করাও বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবও দিয়েছে সিডিএসসিও।
গত বছর ভারতে তৈরি কাশির সিরাপ সেবনে গাম্বিয়ায় অন্তত ৭০ শিশু এবং তারপর উজবেকিস্তানে ১৮ শিশুর মৃত্যু ভারতের ওষুধ কোম্পানির জন্য ছিল এক বড় ধাক্কা।
ভারতের মেইডেন ফার্মাসিউটিকেলের বানানো চারটি কফ সিরাপ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছিল ডব্লিউএইচও। পরীক্ষায় সেগুলোতে অনুনমোদিত মাত্রার ডাইইথিলিন গ্লাইসল ও ইথিলিন গ্লাইসল পাওয়া যায়।
উজবেকিস্তান ডিসেম্বরে বলেছিল, আরেক ভারতয়ি বায়োটেক কোম্পানি মেরিয়নের তৈরি কফ সিরাপ সেবনে শিশু মৃত্যু হয়েছে। সিরাপের মধ্যে বিষাক্ত ইথিলিন গ্লাইকোলের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
যদিও ভারতের দুটো ওষুধ কোম্পানিই এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।