আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে প্রায় চার কিলোমিটারের মধ্যে থাকা নিকটবর্তী বসতিগুলোতে জ্বলন্ত লাভা ও পাথর আঘাত হেনেছে।
Published : 04 Nov 2024, 04:31 PM
ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় নুসা তেনগারা প্রদেশের ফ্লোরেস দ্বীপের একটি আগ্নেয়গিরির উদ্গিরণের পর অন্তত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে কুন্ডুলি পাকিয়ে বের হয়ে আসা লাভার স্রোতের কারণে লিওতোবি লাকি লাকি আগ্নেয়গিরিটির নিকটবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের কর্তৃপক্ষ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার ভলকানোলজি এন্ড জিওলজিক্যাল হ্যাজার্ড মিটিগেশন (পিভিএমবিজি) কেন্দ্রের মুখপাত্র হাদি বিজয়া সোমবার জানান, রোববার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৫৭ মিনিটে লিওতোবি লাকি লাকি আগ্নেয়গিরি থেকে লাভার একটি কলাম, আগ্নেয় ছাই ও জ্বলজ্বলে পাথর উদ্গিরিত হয়।
রয়টার্সকে তিনি বলেন, “উদ্গিরণের পর বিদ্যুৎ চলে যায় আর তারপর বৃষ্টি শুরু হয়, সঙ্গে ব্যাপক বজ্রপাতের থাকায় লোকজনক আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।”
কর্তৃপক্ষ আগ্নেয়গিরি সতর্কতা সর্বোচ্চ স্তরে উন্নিত করেছে, জানিয়েছেন তিনি। পিভিএমবিজি আগ্নেয়গিরিটির সাত কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সবাইকে অবশ্যই সরে যেতে হবে বলে জানিয়েছে।
হাদি জানান, জ্বালামুখ থেকে প্রায় চার কিলোমিটারের মধ্যে থাকা নিকটবর্তী বসতিগুলোতে জ্বলন্ত লাভা ও পাথর আঘাত হেনেছে, এতে বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পূর্ব ফ্লোরেস এলাকার স্থানীয় কর্মকর্তা হেরোনিমাস লামাবুরান জানান, সোমবার সকালের মধ্যে অন্তত নয়জনের মৃত্যু হয়। অগ্ন্যুৎপাতে সাতটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিকটবর্তী গ্রামগুলো ঘন আগ্নেয় ছাইয়ে ঢাকা পড়েছে।
“আমরা আজ (সোমবার) সকাল থেকে লোকজনকে জ্বালামুখ থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অন্য গ্রামগুলোতে সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছি,” বলেন তিনি।
ইন্দোনেশিয়া অনেকগুলো টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা যা ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা’ (প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার) নামে পরিচিত তার উপরে অবস্থিত। ফলে দেশটিতে প্রায়ই বড় ধরনের ভূমিকম্প হয় এবং অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে।
🌋🇮🇩 Terrible situation in the southeast of Flores Island, Indonesia. The Lewotobi (Lakilaki) volcano erupted and launched powerful bombs of pyroclastic and volcanic ash towards nearby villages. Several houses caught fire and an intense rain of ash and gravel has forced residents… pic.twitter.com/HIUO8pi02T
— Weather monitor (@Weathermonitors) November 3, 2024