অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই থাকার পরও ফেরিটি ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হল কেন, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।
Published : 28 Jul 2023, 05:37 PM
ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলার কাছে একট হ্রদে ফেরিডুবিতে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির কোস্টগার্ড।
অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই থাকার পরও ফেরিটি ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হল কেন, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে শুক্রবার জানিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার তীব্র ঝড়ো বাতাসের মধ্যে ফেরিটি ডুবে যায়। কর্তৃপক্ষ ৪০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
যতোজন যাত্রী বহন করার জন্য ফেরিটি নকশা করা হয়েছিল, এতে তার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ডের মুখপাত্র আরমান্দ বালিলো সিএনএন ফিলিফিন্স টেলিভিশনকে বলেছেন, “ইতোমধ্যেই আমরা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছি, আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধেও।”
ফেরিটির ক্যাপ্টেন ও অপারেটরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, মোটামুটি ৪০ জন যাত্রীকে বহন করার মতো করে ফেরিটি তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু ওইদিন এতে মোট কতোজনকে উঠানো হয়েছিল তা পরিষ্কার হয়নি। ফেরিটির যাত্রী তালিকায় মাত্র ২২ জনের নাম পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধান ও উদ্ধার এবং পুনরুদ্ধার অভিযান চলছে বলে বালিলো জানিয়েছেন।
চলতি বছর ফিলিপিন্সে প্রাণঘাতী ফেরিডুবির এটি দ্বিতীয় ঘটনা। এর আগে মার্চে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি ফেরি ডুবে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
চলতি সপ্তাহে ফিলিপিন্সে টাইফুন ডকসুরি আঘাত হেনেছিল। ওই সময় দেশটির উত্তরাঞ্চল ও সবচেয়ে জনবহুল দ্বীপ লুজনের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়। এই লুজন অঞ্চলেই রাজধানী ম্যানিলার অবস্থান।
ডকসুরি উত্তরাঞ্চল অতিক্রম করার সময় ফেরিডুবিতে মৃতরাসহ ফিলিপিন্সে মোট ৩৬ জনের মৃত্যু হয়।