সুমিতে হামলাকে ইউক্রেইনে চলতি বছর রাশিয়ার করা হামলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বলা হচ্ছে।
Published : 14 Apr 2025, 03:14 PM
যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে যে কোনো চুক্তির আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে ইউক্রেইন ঘুরে যেতে আমন্ত্রণ জানালেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
“কোনো সিদ্ধান্ত, বা যে কোনো ধরনের মধ্যস্থতার আগে দয়া করে এসে জনগণ, বেসামরিক নাগরিক, যোদ্ধা, হাসপাতাল, গির্জা, বিপর্যস্ত শিশু ও মৃতদের দেখে যান,” সিবিএস নিউজের সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
রোববার ইউক্রেইনের সুমিতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগেই জেলেনস্কির এই সাক্ষাৎকারটি রেকর্ড করা হয়েছিল। ইস্কান্দার-এম ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে চালানো এ হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত ৩৪ জন নিহত ও ১১৭ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে কিইভ।
ট্রাম্প রোববারের এ হামলাকে ‘ভয়ঙ্কর’ অ্যাখ্যা দিলেও বলেছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ নয়।
তবে ইউক্রেইনের ইউরোপীয় মিত্ররা সোচ্চার। জার্মানিতে চ্যান্সেলর পদে বসতে যাওয়া ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘গুরুতর যুদ্ধাপরাধ’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
সুমিতে হামলার ঘটনাকে ‘মানুষের প্রাণ, আন্তর্জাতিক আইন ও যুদ্ধ থামাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রতি চরম অবজ্ঞা’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
“এটা সবাই জানে, রাশিয়া একাই এই যুদ্ধ শুরু করেছে, এবং আজ এটা স্পষ্ট যে তারা একা এটা চালিয়েও যেতে চায়,” বলেছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার শিগগিরই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন দ্যর লিয়েন সুমিতে হামলাকে ‘বর্বর’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের এক মুখপাত্র বলেছেন, হামলার খবর জানতে পেরে মহাসচিব ‘গভীরভাবে শঙ্কিত ও হতবাক’ হয়েছেন।
রোববারের এ হামলাকে ইউক্রেইনে চলতি বছর রাশিয়ার করা হামলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বলা হচ্ছে। রাশিয়া শিগগিরই ইউক্রেইনে বড় ধরনের অভিযানে নামতে যাচ্ছে এমন গুঞ্জনের মধ্যে এ হামলা হল।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ক্রিভি রি-তে আরেক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২০ জন নিহত ও ৬১ জন আহত হয়েছিল।
সেসময় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, তারা ‘ইউক্রেইন বাহিনীর একাধিক কমান্ডার ও পশ্চিমা প্রশিক্ষকদের’ বৈঠকের খবর পেয়ে ক্রিভি রি-র একটি রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়েছিল। নিজেদের দাবির সপক্ষে মস্কো সেসময় কোনো তথ্যপ্রমাণ দেয়নি।
রোববারের হামলা প্রসঙ্গেও এখন পর্যন্ত তাদের কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।