বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশে গত সপ্তাহে অর্থনীতি সম্পর্কিত কিছু উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। এরে ফলে মন্দার আশঙ্কা জোরাল হয়েছে।
Published : 06 Aug 2024, 01:01 AM
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিক মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে। একাধিক বিশ্লেষণে এমন আশঙ্কা করা হয়েছে। এই আশঙ্কার মধ্যে ওয়াল স্ট্রিটের মূল সূচকে এবং বিশ্ব বাজারে ধস নেমেছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সম্পর্কিত কিছু উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। দেশটিতে বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
গত শুক্রবার প্রকাশিত শ্রম মন্ত্রণালয়ের নতুন এই কর্মসংস্থান পরিসংখ্যান অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা জোরদার করছে। বেকারত্বের হারের এই বৃদ্ধি বাজারের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বেকারত্বের এমন বৃদ্ধি আসন্ন মন্দার লক্ষণ।
মন্দার এই আশঙ্কার প্রভাব দেখা গেছে শেয়ারবাজারে। সোমবার সকালে ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজের ফিউচারে পতন হয়েছে ৯০০ পয়েন্ট বা প্রায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ, এসএন্ডপি ৫০০ সূচক ২ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ন্যাসডাক ২ দশমিক ৮ শতাংশ।
এর আগে শুক্রবার, ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল গড় ৬১০ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫১ শতাংশ কমেছিল। যেখানে এসএন্ডপি ৫০০ সূচক ১.৮৪ শতাংশ ক্ষতিতে ছিল। আর ন্যাসডাক স্টক ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ ক্ষতিতে ছিল।
ইউরোপ ও এশিয়ার বাজার সবখানে বেচাকেনার অবস্থা এবং বিশ্ববাজারে হঠাৎ করেই সেল শুরু হওয়ায় ওয়াল স্ট্রিটের সূচকগুলোতে ধস দেখা যাচ্ছে।
বাজারে ধসের একটি বড় কারণই হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রে আশানুরূপ কর্মসংস্থান না হওয়া।
কোম্পানিগুলো নিয়োগের গতি মন্থর করেছে।মাত্র ১ লাখ ১৪ হাজার নতুন চাকরি যোগ হয়েছে গত মাসে, যা অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। মজুরিও আগের মাসের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও এর গতি ছিল ধীর।
গোটা বিশ্বে একাধিক শেয়ারবাজারে পতন দেখা গেছে। বিবিসি জানায়, সোমবার জাপানের শেয়ারবাজারে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি পয়েন্টে ধস নামে। ৬ শতাংশ পড়ে যায় দেশটির স্টক মার্কেট। এদিন বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ধস দেখা গেছে সেনসেক্স এবং নিফটি৫০ এ।
এছাড়া, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, হংকং, সাংহাই সবখানেই শেয়ার বাজার ধাক্কা খেয়েছে।
সোমবার বিশ্ব বাজারের পতনের এই প্রভাব পড়ে ভারতের শেয়ার বাজারে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তীব্র পতনের কারণে ভারতের শেয়ারবাজার এদিন দরপতনের সঙ্গে খুলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক উচ্চ সুদের হার বজায় রেখে মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেষ্টা করছে। অনেক অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, শ্রমবাজার শান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেলেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমাবে।