এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ শুরু হয়েছে।
Published : 19 Jun 2023, 10:39 PM
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের দুইদিনের চীন সফরে নিজেদের মধ্য বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক স্থিতিশীল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেইজিং ও ওয়াশিংটন।
সোমবার চীনের প্রেসিডেন্টে শি জিনপিংয়ে সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিনকেন। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ শুরু হল।
বৈঠকের বিষয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা অগ্রগতি অর্জন করেছেন। অন্যদিকে, ব্লিনকেন বক্তব্যে দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে আরো আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে বলে জানায় বিবিসি। যদিও ব্লিনকেন স্পষ্ট করেই বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে এখনো বিস্তর মতপার্থক্য রয়েছে।
তিয়ানানমেন স্কয়ারের দ্য গ্রেট হল অব দ্য পিপুল এ সোমবার শি-ব্লিনকেন প্রায় ৩৫ মিনিট বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে ব্লিনকেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘দায়িত্বশীলতার সঙ্গে নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্যগুলো পরিচালনা করতে শীর্ষ পর্যায়ে টেকসই যোগাযোগ সব থেকে ভালো উপায় বলে আমি মনে করি এবং বৈঠকে আমি এ বিষয়টির উপর জোর দিয়েছি। সেইসঙ্গে প্রতিযোগিতা যেনো সংঘাতের দিকে না যায় সেটাও নিশ্চিত করতে চেয়েছি।
‘‘আমার চীনা অংশীদারও একই কথা বলেছেন। আমরা উভয়ই আমাদের সম্পর্কে স্থিতিশীলতার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছি।”
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আমল থেকেই চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন রূপ নেয়।
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের তাইওয়ান সফর এবং এ বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের নজরদারি বেলুন কাণ্ডে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়।
সেই উত্তেজনার পারদ নামিয়ে আনতেই ব্লিনকেনের এই সফর। গত প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেইজিং সফরে গিয়েছেন। যা নিয়ে শি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ইতিবাচক লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘‘দুই পক্ষ বেশকিছু অগ্রগতিও অর্জন করেছে এবং সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে। এটা খুবই ভাল।”
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চীনের প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য প্রকাশ করা হয়।
দুই দিনের চীন সফরে রোববার বেইজিং পৌঁছান ব্লিনকেন। শুরুতে তার চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল না। দুই নেতার বৈঠক শুরুর মাত্র একঘণ্টা আগে এই বৈঠকের বিষয়ে জানানো হয়।