রাশিয়া- ইউক্রেইন শান্তি প্রচেষ্টায় কোনো অগ্রগতি না হলে মধ্যস্থতা থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাবে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছে।
Published : 22 Apr 2025, 01:38 PM
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তিন বছর আগে যুদ্ধ শুরুর প্রাথমিক দিনগুলোর পর থেকে প্রথমবারের মতো ইউক্রেইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বেসামরিক লক্ষ্যস্থলগুলোতে হামলা বন্ধ করা নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী কিইভ।
তবে জেলেনস্কি সরাসারি পুতিনের সোমবারের প্রস্তাবে সাড়া দেননি। তিনি তার রাত্রিকালীন ভিডিও বক্তৃতায় বলেছেন, “বেসামরিকদের ওপর হামলা বন্ধ করবে এমন একটি যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য ইউক্রেইন প্রস্তুত আছে।”
রয়টার্স লিখেছে, এই দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্রের চাপে আছেন। আলোচনায় কোনো অগ্রগতি না হলে রাশিয়া- ইউক্রেইন শান্তি প্রচেষ্টার মধ্যস্থতা থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাবে বলে হুমকি দিয়েছে।
গত শনিবার খ্রিষ্টানদের ইস্টান সানডে পরব উপলক্ষ্যে ৩০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল মস্কো। কিইভ তা মেনে চলবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু পরে উভয়পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
এখন রাশিয়া ও ইউক্রেইন উভয়েই বলছে, তারা আরও যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত আছে।
সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলার সময় পুতিন জানান, ইস্টার যুদ্ধবিরতির পর লড়াই আবার শুরু হলেও মস্কো যে কোনো শান্তি উদ্যোগে সাড়া দিতে প্রস্তুত আছে আর কিইভের কাছ থেকেও একই প্রতিক্রিয়া আশা করছে।
পরে বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের দেওয়া উদ্ধৃতিতে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভকে বলেন, “যখন প্রেসিডেন্ট বলেন যে বেসামরিক লক্ষ্যস্থলে আঘাত হানার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব, দ্বিপাক্ষিকসহ, তখন তিনি ইউক্রেইনীয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনার কথা মনে রেখেই এমন কথা বলেন।”
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, বুধবার ইউক্রেইন লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবে।
গত সপ্তাহে প্যারিসে এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেইন যুদ্ধ অবসানের পথগুলো নিয়ে আলোচনা করেছিল। লন্ডন বৈঠকে এর পরবর্তী আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেইনে আক্রমণ শুরু করার পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ দুইপক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হলেও তারপর থেকে উভয়ের মধ্যে এ ধরনের আর কোনো বৈঠক হয়নি।