দক্ষিণ কোরিয়ার, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চ্যাং হো-জিন বলেন, ‘আমরা ইউক্রেইনে অস্ত্র পাঠানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার পরিকল্পনা করছি।’
Published : 21 Jun 2024, 01:48 PM
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেইনকে অস্ত্র দিলে দক্ষিণ কোরিয়া 'বড় ধরনের ভুল' করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার নতুন চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় সিউল এ ধরনের সম্ভাবনা বিবেচনা করছে বলে জানানোর পর তিনি এ মন্তব্য করলেন।
বিবিসি জানিয়েছে, পুতিন বৃহস্পতিবার বলেছেন, সিউল যদি কিইভকে অস্ত্র সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেয় তবে মস্কো এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে তাতে দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান নেতৃত্বের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পিয়ংইয়ং ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা পরই দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চ্যাং হো-জিন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ইউক্রেইনে অস্ত্র পাঠানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার পরিকল্পনা করছি।”
পুতিনের সফরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে, যার সমালোচনা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
চ্যাং হো-জিন বলেন, “উত্তর কোরিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে শক্তিশালী করে, এ ধরনের যেকোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের লঙ্ঘন। অথচ রাশিয়া নিজেই ওই প্রস্তাবের পক্ষে ছিল। তাই এটা (প্রতিরক্ষা চুক্তি) করে স্বয়ং মস্কো তা লঙ্ঘন করেছে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়াকে সহায়তা দিলে তা দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়ার সম্পর্কে নিঃসন্দেহে নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলবে।”
দক্ষিণ কোরিয়া ইউক্রেইনকে মানবিক সহায়তা ও সামরিক সরঞ্জাম দিলেও এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ করতে রাজি হয়নি। কারণ, যুদ্ধরত কোনো পক্ষের কাছে অস্ত্র বিক্রি না করার নীতি দীর্ঘদিন ধরেই মেনে চলছে সিউল। তাই রুশ হামলার শুরুর পর ওয়াশিংটন ও কিইভের অনুরোধের পরও ইউক্রেইনকে অস্ত্র বিক্রি করতে রাজি হয়নি দেশটি।
ইউক্রেইনের কেউ কেউ আশা করছেন, মস্কো এবং পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে গভীর সামরিক সহযোগিতা সিউলকে তার দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করবে।
পুতিনের সফরের উত্তর কোরিয়ার নেতা ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতি 'পূর্ণ সমর্থন' ব্যক্ত করেন।
রাশিয়াও এরই মধ্যে ইউক্রেইনে উত্তর কোরিয়া থেকে পাওয়া ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে শুরু করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এদিকে মস্কো-পিয়ংইয়ংয়ের প্রতিরক্ষা চুক্তিতে 'অবাক হওয়ার কিছু নেই' উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি।
এই চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাপানও।