ইউক্রেইনের ক্রামাতোর্স্ক নগরীতে ‘ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে’ ছয়শর বেশি ইউক্রেইনীয় সেনাকে হত্যার দাবি করেছে মস্কো। যদিও তারা এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
মস্কো বলেছে, নতুন বছরের আগের দিন সন্ধ্যায় মাকিভকায় রাশিয়ার একটি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ৮৯ রুশ সেনাকে হত্যার প্রতিশোধ নিতেই তারা ওই হামলা চালিয়েছে।
মস্কোর এই দাবিকে ‘প্রপাগান্ডা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেইন।
ইউক্রেইনের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ‘‘এটা রাশিয়ার আরেকটি প্রপাগান্ডা।”
বার্তা সংস্থা রয়টার্সও তাদের এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে রোববার জানায়, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্রামাতোর্স্ক নগরীর বেশ ক্ষয়ক্ষতি হলেও ভবন ধ্বংস হয়ে যাওয়ার বা মানুষ নিহত হওয়ার কোনো স্পষ্ট প্রমাণ দেখা যায়নি।
অথচ, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দুইটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ছয়শর বেশি সেনাকে হত্যা করার দাবি করে বলা হয়, ওই দুইটি ভবনে ইউক্রেইনের ১৩শর বেশি সেনা অস্থায়ী ঘাঁটি গেড়েছিল।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে ক্রামাতোর্স্কের যে দুটো ভবনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেদুটি মূলত কলেজ ডরমেটরি বা হোস্টেল।
রয়টার্সের প্রতিনিধিরা ভবন দুটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। শনিবার রাতভর নগরীর যে এলাকায় রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভবন দুটি তার খুব কাছে অবস্থিত। কিন্তু সেগুলোতে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত লাগা বা বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি তারা দেখতে পাননি। সেখানে সেনাদের অবস্থান বা রক্তের স্পষ্ট চিহ্নও নেই বলে জানিয়েছেন রয়টার্স প্রতিনিধিরা।
তারা বলেছেন, হোস্টেল নম্বর ৪৭ এর কয়েকটি জানালার কাঁচ ভাঙা ছিল। সেটির কাছে মাটিতে একটি বড় গর্ত দেখা গেছে। আর রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ করে হোস্টেল নম্বর ২৮ এর কথা বলা হলেও ওই ভবনটি পুরো অজ্ঞত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। সেটি থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে একটি বড় গর্ত দেখা গেছে।