পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার বৈঠক চলছে। চুক্তিতে অনুমোদন না দিতে কট্টর ডানপন্থি অনেক রাজনীতিক শেষ মুহূর্তেও মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছেন।
Published : 17 Jan 2025, 09:11 PM
নির্ধারিত সময়ের একদিন পর অনুষ্ঠিত ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে গাজা যুদ্ধবিরতি-জিম্মি মুক্তি চুক্তিটি অনুমোদিত হয়েছে।
শুক্রবারের বৈঠক থেকে সিকিউরিটি কেবিনেট চুক্তিটি অনুমোদনে ইসরায়েলের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভাকে সুপারিশও করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ওই বৈঠকের কিছু সময় পর ইসরায়েলের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার বৈঠকও শুরু হয়েছে। সেখানে অনুমোদন মিললেই যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি কার্যকর হবে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা বা সিকিউরিটি কেবিনেট পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার অল্পকজন সদস্য নিয়ে গঠিত। নিরাপত্তাজনিত জরুরি অনেক বিষয়ের সিদ্ধান্ত বা সুপারিশ এই সিকিউরিটি কেবিনেট থেকে আসে।
সিকিউরিটি কেবিনেটে চুক্তিটি অনুমোদিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ।
বুধবার রাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা আসার পর থেকেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর চুক্তি নির্ধারিত সময় থেকেই কার্যকর করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করে আসছিল।
চুক্তি অনুমোদনে বৃহস্পতিবার তাদের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠকও ডাকা হয়। কিন্তু পরে ওই বৈঠক পিছিয়ে গেলে চুক্তি রোববার থেকে কার্যকর হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়।
পরে শুক্রবার সকালে সিকিউরিটি কেবিনেটের বৈঠক বসে। চুক্তিতে অনুমোদন না দিতে কট্টর ডানপন্থি অনেক রাজনীতিক শেষ মুহূর্তেও মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছেন।
শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে তা এরই মধ্যে ৪৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে স্বজনহারা, বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীকে খানিক স্বস্তি দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যুদ্ধের কারণে ছোট এই ভূখণ্ডটির প্রায় ২৩ লাখ বাসিন্দাকে কয়েকবারই উপত্যকাটির ভেতরের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে ছুটে বেড়াতে হয়েছে।
এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে আপাতত গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ থামার পাশাপাশি হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি এবং ইসরায়েলের হাতে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির পথ খুলবে।
এই চুক্তি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের বাড়িতে ফেরারও সুযোগ দেবে, যদিও ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পর তাদের বেশিরভাগের বাড়ি আর অবশিষ্ট নেই।
গাজা যুদ্ধে ইরান ও এর সমর্থক লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি ও ইরাকের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীও নানাভাবে জড়িয়ে পড়েছিল। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি মধ্যপ্রাচ্যের এই অস্থিরতাও খানিকটা কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে বলে অনেকের আশা।