দলের আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ঐক্য ও শৃঙ্খলার নাটকীয় ভাঙ্গনের মুখে ক্ষমতা ধরে রাখতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাকে।
Published : 20 Oct 2022, 02:35 PM
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার ছয় সপ্তাহের মধ্যে কর্তৃত্বের মুঠো আলগা হতে হতে ঘূর্ণিপাকের মধ্যে পড়ে গেছেন লিজ ট্রাস।
তার মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় আরেক শীর্ষ মন্ত্রী পদত্যাগ করার একদিন পর বৃহস্পতিবার তার দলের আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ঐক্য ও শৃঙ্খলার নাটকীয় ভাঙ্গনের মুখে ক্ষমতা ধরে রাখতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাকে।
ট্রাস এরই মধ্যে বন্ড মার্কেটের বিপর্যয়ে জোর ধাক্কা খেয়েছেন, একজন ব্রিটিশ নেতা হিসেবে কয়েক দশকের মধ্যে তার জনসমর্থন সবচেয়ে নিচে নেমে গেছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যেসব নীতি কর্মসূচী গ্রহণ করেছিলেন সেগুলোর প্রায় সবই ত্যাগ করেছেন আর এখন তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও হারিয়েছেন, যিনি মাত্র ৪৩ দিন দায়িত্বপালন করেই বুধবার পদত্যাগ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যানের পদত্যাগের প্রায় সপ্তাহখানেক আগে অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়াটেংকে বরখাস্ত করেছিলেন ট্রাস। তাদের জায়গায় যারা এসেছেন তারা ট্রাসের নেতৃত্বের পক্ষের লোক নন, কিন্তু এটি তাকে মেনে নিতে হচ্ছে।
বুধবার পার্লামেন্টে বিরোধীদলের ডাকে হওয়া ‘ফ্র্যাকিং ভোট’ নিয়ে আইনপ্রণেতারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন, পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির ৩৫৭ এমপি থাকলেও বিরোধী লেবার পার্টির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেন মাত্র ৩২৬ জন। এটি ট্রাসের প্রশাসনের বিষয়ে আস্থা ভোট কিনা তা নিয়ে প্রকাশ্যে তর্কাতর্কিত জড়িয়ে পড়েন কনজারভেটিভ এমপিরা।
কিছু এমপি প্রকাশ্যে ট্রাসকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান আর অন্যরা তার জায়গায় কে আসতে পারেন তা নিয়ে আলোচনা করেন।
এরপর খবর আসে সরকারি দলের চিফ হুইপ পদত্যাগ করেছে, পরে জানা যায় তিনি পদত্যাগ করেননি।
বিশৃঙ্খলার ইঙ্গিত দিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৩৩ মিনিটে ডাউনিং স্ট্রিট একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, চিফ হুইপ ও তার ডেপুটির ওপর প্রধানমন্ত্রীর ‘পূর্ণ আস্থা’ আছে।
সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, “যেসব কনজারভেটিভ এমপিরা সরকারকে সমর্থন দেননি হুইপরা এখন তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। যারা ভোট না দেওয়ার পক্ষে উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
২৩ সেপ্টেম্বর তখনকার অর্থমন্ত্রী কোয়াটেং ‘মিনি বাজেট’ এর ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই রাজনৈকভাবে টিকে থাকার জন্য ট্রাসকে লড়াই করতে হচ্ছে।
বাড়তে থাকা নেতৃত্বের সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব প্রতিযোগিতা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ‘১৯২২ কমিটির’ কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবেন বলে টেলিগ্রাফের সহযোগী সম্পাদক এক টুইটে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যানের পদত্যাগ