ওই বেসামরিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে রাশিয়া কৌশলগত বোমারু বিমান ব্যবহার করেছে, বলেছে তারা।
Published : 13 Sep 2024, 01:25 AM
নেটো সামরিক জোটের সদস্য রোমানিয়ার কাছে কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়া একটি বেসামরিক শস্যবাহী জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেইন।
ওই জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে রাশিয়া কৌশলগত বোমারু বিমান ব্যবহার করেছে, বলেছে তারা।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ওই জাহাজটি ইউক্রেইনীয় শস্য নিয়ে মিশরে যাচ্ছিল, রাতে ইউক্রেইনের জলসীমা অতিক্রম করার পরপরই তাতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এই অভিযোগের বিষয়ে রাশিয়া থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য আসেনি, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেছেন, “এটি জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা ও বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার ওপর চালানো নির্লজ্জ হামলা।”
ইউক্রেইনের নৌবাহিনী জানিয়েছে, বুধবার রাত ১১টা ২ মিনিটে (স্থানীয় সময়) রাশিয়ার তাপুলেফ তু-২২ বোমারু বিমান থেকে বেশ কয়েকটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম চলন্ত অবস্থায় একটি বেসামরিক শস্যবাহী জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হল। ইউক্রেইনের বন্দরগুলোতে রাশিয়ার হামলার সময় এ ধরনের কিছু জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেগুলো নোঙর করা অবস্থায় ছিল।
ব্রিটিশ সামুদ্রিক নিরাপত্তা কোম্পানি অ্যামব্রি জানায়, ইউক্রেইনের ওদেসা অঞ্চলের চর্নমোর্স্ক বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর সেইন্ট কিটস এন্ড নিভেসের পতাকাবাহী জাহাজটিতে রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এতে জাহাজটির বাম পাশের একটি কার্গো হোল্ড ও একটি ক্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জাহাজটির নাম ‘আয়া’ বলে শনাক্ত করেছে ইউক্রেইনের নৌবাহিনী।
জাহাজ ট্র্যাকিং তথ্য থেকে দেখা গেছে, জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থান ছিল রোমানিয়ার কনসতান্তা বন্দরের থেকে কিছুটা দূরে।
অনামা এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জাহাজটিতে যখন আঘাত হানা হয়েছে তখন এটি দানিয়ুব নদীর মোহনা থেকে খুব একটা দূরে ছিল না।
ইউক্রেইনের নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাহাজটি রোমানিয়ার সামুদ্রিক অর্থনৈতিক অঞ্চলে ছিল।
একটি দেশের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক অঞ্চল তাদের আঞ্চলিক জলসীমার বাইরে প্রসারিত একটি এলাকা হয়ে থাকে।
রোমানিয়ার নৌ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শস্যবাহী জাহাজটি তাদের জলসীমার মধ্যে ছিল না আর সেটি থেকে কোনো সহায়তাও চাওয়া হয়নি।