চীনকে ঠেকাতে আরও ‘ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে অস্ট্রেলিয়া’

একটি প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, এই ‘ক্ষেপণাস্ত্রের যুগে’ অস্ট্রেলিয়া আর তাদের ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতার মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকবে না।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2023, 10:18 AM
Updated : 24 April 2023, 10:18 AM

চীনের বাড়তে থাকা হুমকি মোকাবেলায় দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কেনার উদ্যোগ দ্রুততর করবে অস্ট্রেলিয়া।

দেশটির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, এই ‘ক্ষেপণাস্ত্রের যুগে’ অস্ট্রেলিয়া আর তাদের ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতার মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকবে না। 

তাইওয়ান নিয়ে চীনের অবস্থানে বাড়তে থাকা অঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে ১১০ পৃষ্ঠার ‘ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজিক রিভিউ’ (ডিএসআর) গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষার সবচেয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।  

এই প্রতিবেদনে অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য যে সব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেগুলোর জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকার প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে বলে বিবিসি জানিয়েছে।  

তাইওয়ান স্বাধীনতা ঘোষণার চেষ্টা করলে শক্তি প্রয়োগ করে দ্বীপটিকে চীনের অধীনে আনা হবে বলে বারবার জানিয়ে আসছে বেইজিং। চীনের নৌবাহিনী দক্ষিণ চীন সাগরে একটি শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে, আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে এই সাগরের একটি অংশকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করছে।

“দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে যে কোনো দেশের মধ্যে চীনের সামরিক বৃদ্ধি এখন সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের কৌশলগত অভিপ্রায়ের বিষয়ে কোনো আশ্বাস ও স্বচ্ছতা ছাড়াই এই বৃদ্ধি ঘটানো হচ্ছে,” প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে। 

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেছেন, “ভবিষ্যৎ আমাদের রূপ নির্ধারণ করবে, তার জন্য অপেক্ষা করার বদলে পর্যালোচনাটিই ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে। এর পরামর্শগুলো অস্ট্রেলিয়াকে আরও আত্মনির্ভরশীল, আরও প্রস্তুত ও আরও নিরাপদ করবে।”   

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস বলেছেন, “পর্যালোচনাটিতে অস্ট্রেলিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে স্থলভিত্তিক প্রতিরক্ষা থেকে সরে দেশে তৈরি যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে দীর্ঘ পাল্লার আক্রমণ সক্ষমতা গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

“আমাদের এমন একটি প্রতিরক্ষা বাহিনী থাকা দরকার যার ‘ইমপ্যাক্টফুল প্রোজেকশনে’ জড়িত থাকার সক্ষমতা থাকতে হবে।”

মার্লেস বলেছেন, ৫০০ কিলোমিটারের বেশি পাল্লার ‘নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র’ ভবিষ্যতে যেমনটি দরকার হবে তেমন ‘ফায়ার পাওয়ার ও ক্ষিপ্রতা’ সেনাবাহিনীকে এনে দেবে।   

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার মূল্যের ২২০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। অপারমাণবিক এসব ক্ষেপণাস্ত্র দেশটি ভার্জিনিয়া ক্লাস সাবমেরিনে ব্যবহার করবে; অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হওয়া প্রতিরক্ষা সমঝোতা ‘অকাস’ অনুযায়ী মার্কিন এসব সাবমেরিন পাবে ক্যানবেরা।