দেশটির শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীরা গাজায় যুদ্ধবিরতি ও অন্যান্য দাবিতে ক্যাম্পাসগুলোতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে আসছে।
Published : 28 Apr 2024, 05:07 PM
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহু ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীকে শনিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দেশটির শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীরা গাজায় যুদ্ধবিরতি ও অন্যান্য দাবিতে ক্যাম্পাসগুলোতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে আসছে।
ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ব্লুমিংটনের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ এক ইমেইল বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ক্যাম্পাস থেকে ২৩ প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশের পাশাপাশি ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্য পুলিশ বিক্ষোভকারীদের জানিয়েছে, তারা ক্যাম্পাসের মধ্যে তাঁবু খাটিয়ে শিবির গড়তে পারবে না।
যখন প্রতিবাদকারীদের তাঁবুগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়নি তখন পুলিশ ওই বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করে তাদের মনরো কাউন্টি জাস্টিস সেন্টার পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে বাধা দান ও অপরাধমূলক অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনপন্থি এই প্রতিবাদ প্রথমে শুরু হয় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, তা এখনো শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদ আন্দোলনের কেন্দ্র হয়ে আছে। গত সপ্তাহে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শতাধিক বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এক বিবৃতিতে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, বোস্টনের নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রতিবাদকারীদের স্থাপিত একটি শিবির সরিয়ে নিতে সহায়তা করেছে তারা, এই শিবির ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানানো ১০২ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আর তাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হবে।
নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক মাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছে, “দুই দিন আগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ হিসেবে যা শুরু হয়েছিল সেখানে নর্থইস্টান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত নয় এমন পেশাদার সংগঠকরা অনুপ্রবেশ করে।”
এ কারণে তারা ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ।
অ্যারিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার ভোরে পুলিশ ক্যাম্পাস থেকে ৬৯ জন প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলা প্রতিবাদে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছে। পাশাপাশি যেসব কোম্পানি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে জড়িত তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ত্যাগ করার দাবি জানাচ্ছে তারা। ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধেরও দাবি জানাচ্ছে তারা।
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যেসব শিক্ষার্থী ও ফ্যাকাল্টি সদস্যদের প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার জন্য বহিষ্কার বা শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাদের সাধারণ ক্ষমার দাবি।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা ক্যাম্পাসে প্রতিবাদকারীদের স্থাপন করা শিবিরগুলো পরিষ্কার করার জন্য এবং যারা তাঁবু ছাড়তে রাজি না হবে তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশকে ডেকে পাঠিয়েছিল।
তারা বলছেন, প্রতিবাদ করার স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা করে চললেও তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা জায়গাগুলোতে শিবির করার ও ঘৃণাবাচক বক্তব্য দিয়ে ক্যাম্পাসের নীতি লঙ্ঘন করা মেনে নেবেন না।
আরও পড়ুন: