খালিস্তানপন্থি নেতা অমৃতপাল এখনও অধরা,পাঞ্জাবজুড়ে চলছে তল্লাশি

পলাতক এই শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। তার পালানোর ঘটনায় পাঞ্জাব হাইকোর্টের প্রশ্ন, “৮০ হাজার পুলিশ কর্মী কী করছিলেন?”

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2023, 05:24 PM
Updated : 21 March 2023, 05:24 PM

ভারতে গত শনিবার পাঞ্জাব রাজ্যের জলন্ধরের কাছে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও অধরা খালিস্তানপন্থি নেতা অমৃতপাল সিং।

এই শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার খোঁজে রাজ্যজুড়ে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে পাঞ্জাব পুলিশ। হাজার হাজার পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে।

অমৃতপাল পালানোর পর থেকেই এ ঘটনা ঘিরে যাতে রাজ্যে কোনও অশান্তি না ছড়ায় বা ভুয়া খবর না রটে সেটি নিশ্চিত করতে পাঞ্জাবে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়। মঙ্গলবার এই সেবা আংশিক চালু করা হয়েছে।

বিবিসি জানায়, ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে গত শনিবার থেকে অমৃতপালের ১০০’র বেশি সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবুও তার হদিস মিলছে না।

অমৃতপাল সিং খালিস্তান বা শিখদের জন্য একটি আলাদা মাতৃভূমিকে সমর্থন করেন। পাঞ্জাবে তার দ্রুত উত্থান ১৯৮০’র দশকে খালিস্তান বিদ্রোহের স্মৃতিই পুনরুজ্জীবিত করেছে,যে বিদ্রোহ কেড়ে নিয়েছিল হাজারো মানুষের প্রাণ।

পুলিশ তাকে বাগে পাওয়ার পরও ধরে রাখতে পারেনি। ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ সংগঠনের এই নেতা পুলিশের শক্ত ঘেরাটোপ পেরিয়ে জলন্ধরের ডেরা থেকে পালিয়েছেন। শনিবারই তাকে ‘ফেরারি’ ঘোষণা করে তল্লাশি অভিযানে মাঠে নামে পুলিশ। তিনি কোথায় আছেন তা স্পষ্ট নয়।

সীমান্ত পেরিয়ে তিনি পাকিস্তানে পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অমৃতপালের কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে আইএসআইয়ের হাত রয়েছে বলেও অনুমান পুলিশের।

অমৃতপালের পালানোর ঘটনায় পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট ভর্ৎসনার সুরে পুলিশকে প্রশ্ন করেছে, “৮০ হাজার পুলিশ কর্মী আছেন, তারা কী করছিলেন?”

ভারতজুড়ে একটাই প্রশ্ন, পুলিশের ঘেরাটোপ কীভাবে টপকালেন অমৃতপাল? কোর্ট পরিস্কার বার্তা দিয়ে জানিয়েছে, এই ঘটনা গোয়েন্দাদেরই ব্যর্থতা।

পুলিশ আমৃতপালকে ধরার অভিযানে নেমে যে ধরপাকড় শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে বিদেশে ভারতের দূতাবাসগুলোতে বিক্ষোভ,হামলা হচ্ছে। প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভুত শিখরা।

রোববার লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনের সামনে খালিস্তানপন্থী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ করেছে। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই সানফ্রান্সিসকোতেও ভারতের কনস্যুলেটের সামনে কয়েকটি শিখ সংগঠন বিক্ষোভ দেখায়, যা পরে সহিংসতায় রূপ নেয়।