উড়োজাহাজটি জব্দ করায় ভেনেজুয়েলা সরকার এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে 'ডাকাতি' বলে অভিহিত করেছে।
Published : 03 Sep 2024, 04:35 PM
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ব্যবহার করা একটি উড়োজাহাজ জব্দ করে ডোমিনিকান রিপাবলিক থেকে ফ্লোরিডায় নিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই উড়োজাহাজটির ক্রয় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভেঙে করা হয়েছে, এমনটি নিশ্চিত হওয়ার পর বিমানটি জব্দ করা হয় বলে সোমবার জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।
গত ২৮ জুলাইয়ের নির্বাচনে মাদুরো জয়ী হয়েছেন বলে দাবি করার পর থেকে দেশে-বিদেশে তার ওপর অব্যাহত চাপ তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো। এ পরিস্থিতির মধ্যেই মাদুরোর উড়োজাহাজটি জব্দ করা হল।
রয়টার্স জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি জব্দ করায় ভেনেজুয়েলা সরকার এক বিবৃতিতে দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ও এটিকে 'ডাকাতি' বলে অভিহিত করেছে।
ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল অভিযোগ করে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে একতরফা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। অবৈধভাবে চাপিয়ে দেওয়া জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে নিজেকে ন্যায্যতা দিচ্ছে।”
মাদুরো, তার সহযোগীরা এবং ওপেক সদস্য দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তেল খাত যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ও নিষেধাজ্ঞা আইন লঙ্ঘন করেছে সন্দেহে বিমানটি জব্দ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেন, মাদুরোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ২০২২ সালের শেষদিকে এবং ২০২৩ সালের শুরুর দিকে ফ্লোরিডাভিত্তিক একটি কোম্পানি থেকে বেআইনিভাবে বিমানটি ক্রয় করেছিলেন।
এ সময় তারা নিজেদের সংশ্লিষ্টতা লুকানোর জন্য ক্যারিবিয়ানভিত্তিক একটি কোম্পানি ব্যবহার করেন। এরপর বিমানটি ২০২৩ সালের এপ্রিলে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভেনেজুয়েলায় রপ্তানি করা হয়।
ফ্লাইটরাডার২৪ ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, বিমানটি ২০২৩ সালের এপ্রিলে ক্যারিবিয়ান দ্বীপ সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডিনসে অবতরণের পর ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে পৌঁছেছিল।
পরে এটি নিয়মিত ভেনেজুয়েলার একটি সামরিক ঘাঁটিতে আসা-যাওয়া করেছে। তবে বিমানটি কীভাবে এবং কখন ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে পৌঁছেছিল তা এখনও পরিষ্কার নয়। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, মাদুরো অন্যান্য দেশে ভ্রমণের সময় এই বিমানটি ব্যবহার করতেন।
অনেক পশ্চিমা দেশ ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, আর যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় প্রার্থী এদমুন্দো গনসালেসকে সর্বাধিক ভোটে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের সাম্প্রতিক নির্বাচনী কেলেঙ্কারিকে ‘পশ্চিমা ভণ্ডামির’ প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করে মাদুরো ও তার ক্ষমতাসীন দলের মিত্ররা বলেছেন, ভেনেজুয়েলার নির্বাচনে অন্য দেশগুলোর হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।