দক্ষিণ কোরিয়া লাউডস্পিকার বাজিয়ে উত্তর কোরিয়া বিরোধী প্রচার চালালে এবং লিফলেট ও বেলুন পাঠানো অব্যাহত রাখলে নতুন করে এর জবাব দেবে পিয়ংইয়ং।
Published : 10 Jun 2024, 09:51 PM
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়ার লাউডস্পিকারে প্রচার ও লিফলেট ছড়ানোর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া লাউডস্পিকার বাজিয়ে উত্তর কোরিয়া বিরোধী প্রচার চালালে এবং লিফলেট ও বেলুন পাঠানো অব্যাহত রাখলে এর জবাব দেওয়া হবে।
রোববার রাতে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ- তে এক বিবৃতিতে কিম ইয়ো জং বলেন, "সীমান্তে লিফলেট ছড়িয়ে এবং লাউডস্পিকার বাজিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া উস্কানি দিলে অবশ্যই তাদেরকে উত্তর কোরিয়ার নতুন পাল্টা পদক্ষেপের মুখে পড়তে হবে।”
দক্ষিণ কোরিয়ায় কিছুদিন ধরেই উত্তর কোরিয়ার পাঠানো আবর্জনা বোঝাই বেলুন নিয়ে উত্তেজনা চলছে দুই দেশের সীমান্ত অঞ্চলে।
উত্তর কোরিয়া বেলুন পাঠাতে থাকলে এর জবাব দেওয়া হবে বলে দক্ষিণ কোরিয়া হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর সিউল রোববার থেকে লাউডস্পিকারে ফের প্রচার শুরু করেছে। ছয়বছর পর দেশটি এই প্রচার শুরু করে।
কিন্তু উত্তর কোরিয়া এই লাউডস্পিকারে প্রচারকে যুদ্ধের সামিল হিসাবেই দেখে এবং অতীতে তারা লাউডস্পিকার উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে।
গত শনি ও রোববার উত্তর কোরিয়ার ৩শ’র বেশি বেলুন সীমান্ত এলাকায় পাওয়া যায়। প্রায় ৮০ টি বেলুন দক্ষিণে গিয়ে পড়েছে। সেগুলোতে বর্জ্য কাগজ ও প্লাস্টিক শিট ছিল। সোমবার দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, আরও ৩১০টি বেলুন পাঠানো হয়েছে। আর প্রায় ৫০টি বেলুন দক্ষিণে পড়েছে।
পিয়ংইয়ং মে মাসে সীমান্তের ওপারে আবর্জনা ও সারবাহী বেলুন পাঠানো শুরু করে। দক্ষিণ কোরিয়ার উ ত্তর কোরিয়া বিরোধী প্রচারাভিযানে পাঠানো লিফলেটগুলোর প্রতিশোধ হিসাবে এই বেলুন পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পিয়ংইয়ং।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলেন, “সিউল আন্তঃকোরীয় সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা চায় না এবং পিয়ংইয়ং চায় না বাইরের কোনও তথ্য কিম সরকারের বৈধতাকে হুমকির মুখে ফেলুক। উভয় পক্ষের জন্যই উত্তেজনা বাড়া-কমা ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়।”
২০১৮ সালে দুই কোরিয়ার নেতার মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির আওতায় দক্ষিণ কোরিয়া সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিল তবে পিয়ংইয়ং অস্ত্র বিকাশের দিকে এগিয়ে যাওয়ায় উত্তেজনা বেড়েছে।