এখন পর্যন্ত ১০টি দেশ ইউএনআরডব্লিউএ-র জন্য বরাদ্দ তাদের ত্রাণ তহবিল পুনরায় চালু করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া এবং লিথুয়ানিয়া এখনও তাদের তহবিল স্থগিত করে রেখেছে।
Published : 24 Apr 2024, 12:08 AM
দাতা দেশগুলোর কাছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এর জন্য পুনরায় তহবিল পাঠানোর অনুরোধ করেছে নরওয়ে। বলেছে, সংস্থাটির অল্প কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে অপকর্মের যে অভিযোগ উঠেছে সেজন্য পুরো সংস্থা এবং সব ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের শাস্তি দেওয়া ন্যায় সংগত নয়।
গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল দাবি করেছে, গত বছর ৭ অক্টোবার ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় ইউএনআরডব্লিউএ-র শতাধিক কর্মী হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ওই হামলায় অংশ নিয়েছে।
যদিও ইসরায়েল তাদের এ দাবির পক্ষে যথাযথ প্রমাণ এখনও দেখাতে পারেনি। কিন্তু ইসরায়েলের ওই দাবির পর এ বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ ইউএনআরডব্লিউএ-র জন্য তাদের বরাদ্দ ত্রাণ তহবিল স্থগিত করে দেয়ে।
ইউএনআরডব্লিউএ-র বড় দাতাদের একজন নরওয়ে। দেশটি বলেছে, সংস্থাটির জন্য তহবিল বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ গাজার সব ফিলিস্তিনিদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলা।
ফ্রান্সের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনার নেতৃত্বে একটি দল ইউএনআরডব্লিউএ-র নিরপেক্ষতার পর্যালোচনা করে সোমবার এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, ইসরায়েল এখনও তাদের অভিযোগের সমর্থনে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।
পরদিন নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এডি এক বিবৃতিতে বলেন, “আমি এখন ওই সব দেশকে এটা বলতে চাই যে, যারা এখনও ইউএনআরডব্লিউএ-র জন্য তাদের বরাদ্দ আটকে রেখেছেন তারা ওই তহবিল ছাড়ুন।
“নরওয়ে জোর দিয়ে বলছে, ৩০ হাজারের বেশি কর্মীর একটি সংস্থার অল্প কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার কারনে পুরো সংস্থা এবং সব ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের শাস্তি দেওয়া কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এখন পর্যন্ত ১০টি দেশ ইউএনআরডব্লিউএ-র জন্য বরাদ্দ তাদের ত্রাণ তহবিল পুনরায় চালু করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া এবং লিথুয়ানিয়া এখনও তাদের তহবিল স্থগিত করে রেখেছে।
জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র সোমবার বলেছেন, আগামী জুন পর্যন্ত ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার মত যথেষ্ট অর্থ বর্তমানে ইউএনআরডব্লিউএ-র হাতে আছে।