দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ (ডিওেএইচ) জানিয়েছে, রোগী ৩৩ বছর বয়সী একজন ফিলিপিনো, ফিলিপিন্সের বাইরে কোথাও ভ্রমণের ইতিহাস নেই তার।
Published : 19 Aug 2024, 02:22 PM
ফিলিপিন্সে গত বছরের ডিসেম্বরের পর থেকে প্রথমবারের মতো একজন এমপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে।
তবে এই রোগী এমপক্সের কোন ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি। ফিলিপিন্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি নিশ্চিত হতে পরীক্ষার ফলের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ (ডিওেএইচ) জানিয়েছে, রোগী ৩৩ বছর বয়সী একজন ফিলিপিনো, ফিলিপিন্সের বাইরে কোথাও ভ্রমণের ইতিহাস নেই তার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বুধবার এমপক্সকে দুই বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারে মতো বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করেছে। ডব্লিউএইচওর সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা হচ্ছে ‘বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা’। ভাইরাসজনিত এ সংক্রমণ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআরসি) পর প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ছড়ানোর পর এ সতর্কতা জারি করে ডব্লিউএইচও।
আগে মাংকিপক্স হিসেবে পরিচিত অত্যন্ত সংক্রামক এই রোগের প্রাথমিক প্রাদুর্ভাব চলাকালে ডিআরসিতে অন্তত ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়।
এমপক্স: পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগের?
রয়টার্স জানিয়েছে, এই ভাইরাসের নতুন একটি ধরন নিয়মিত ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে সহজে ছড়াতে থাকায় বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সুইডেনে শনাক্ত হওয়া এমপক্সের একজন রোগী ভাইরাসের নতুন ধরনটিতে আক্রান্ত বলে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত হয়েছে। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি সম্প্রতি আফ্রিকার কোনও একটি অঞ্চলে ছিলেন, সেখানেই তিনি আক্রান্ত হন। আফ্রিকার ওই অঞ্চলে সম্প্রতি এমপক্সের অনেক প্রাণঘাতী ধরন ক্লেইড ১ ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে।
আফ্রিকা মহাদেশের বাইরে রোগটি ছড়াচ্ছে, ইউরোপ থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়ার পরদিন শুক্রবার পাকিস্তানে একজন এমপক্স রোগী শনাক্ত হয়। এই ব্যক্তি মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ থেকে দেশে ফিরে ছিলেন। তবে তিনি ভাইরাসটির কোনো ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন তা জানা যায়নি।
ফিলিপিন্সের নতুন রোগী দেশটিতে পরীক্ষার মাধ্যমে সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া দশম রোগী। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ ২০২২ সালের জুলাইতে তাদের প্রথম এমপক্স রোগী শনাক্ত করেছিল।
আরও পড়ুন:
এমপক্স-কে ‘বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা’ ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার