ক্রিপ্টোমুদ্রার আর্থিক স্থিতিশীলতাবিষয়ক ঝুঁকি ঠেকাতে প্রয়োজন নীতিমালা --এমনই বলছেন জাতিসংঘের শীর্ষ অর্থ তহবিল ‘ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড (আইএমএফ)’-এর প্রধান।
“উচ্চমাত্রার ক্রিপ্টো সম্পদ গ্রহণে ম্যাক্রো-ফাইনান্সিংয়ের স্থিতিশীলতা দুর্বল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।” --বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে আয়োজিত ডিজিটাল মুদ্রা বিষয়ক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের শুরুতে বলেন আইএমএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।
তিনি আরও বলেন, উচ্চমাত্রার ক্রিপ্টো সম্পদ গ্রহণে মুদ্রানীতির কার্যকারিতা, মূলধন প্রবাহ ব্যবস্থাপনা ও রাজস্বের স্থায়িত্বে প্রভাব পড়তে পারে। এর মূল কারণ হল, এ খাত থেকে কর সংগ্রহে চলমান অস্থিরতা।
“আমাদের লক্ষ্য, ক্রিপ্টো খাতের ঝুঁকি এড়াতে নতুন নিয়ম তৈরি ও এ প্রযুক্তিতে অবকাঠামো যোগ করে আগের চেয়ে দক্ষ, আন্তঃপরিচালনযোগ্য ও প্রবেশযোগ্য আর্থিক ব্যবস্থা তৈরি।” --দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আয়োজিত ওই যৌথ সম্মেলনে বলেন জর্জিয়েভা।
তিনি আরও যোগ করেন, এ নীতিমালার মানে ‘আমাদেরকে ক্রিপ্টো-পূর্ববর্তী জগতে ফিরিয়ে নেওয়া বা উদ্ভাবনে বাধা দেওয়া নয়’।
“ইতিবাচক নিয়ম উদ্ভাবনে উৎসাহ বাড়াতে এমনকি নির্দেশনাও দিতে পারে।”
ডিজিটাল মুদ্রার বিকাশ নিয়ে প্যানেল আলোচনার সময় জর্জিয়েভা বলেছেন, নীতিনির্ধারকরা ডিজিটাল মুদ্রার অংশ হতে পারেন, একে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারেন, এমনকি এর বাইরেও থাকতে পারেন – তবে, এটি যে কোনোভাবেই হোক, আসছে।
ভারতের সার্বজনীন ডিজিটাল অবকাঠামো’র দিকে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি আরও বলেন, এ খাতে একে অপরের কাছ থেকে শেখার ‘ব্যাপক আগ্রহ’ রয়েছে। বিশেষ করে ‘সবচেয়ে বড় আগ্রহ’ দেখা গেছে উদীয়মান বাজারগুলোয়।
“উন্নত অর্থনৈতিক দেশগুলোর অর্থ নিয়ে নিজস্ব ইতিহাস রয়েছে, যা খুবই মূল্যবান অভিজ্ঞতা।”