সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন ভিডিওতে নিজেকে ‘পুরোপুরি নারীবিদ্বেষী’ দাবি করা ‘আলফা মেল’ ইনফ্লুয়েন্সার টেইটকে রোমানিয়ার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
Published : 31 Dec 2022, 05:21 PM
সংগঠিত অপরাধ, মানব পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তে ‘নারী বিদ্বেষী’ সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সার অ্যান্ড্রু টেইট ও তার ছোট ভাই ত্রিস্তান টেইটকে গ্রেপ্তার করেছে রোমানিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
টুইটারে পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের সঙ্গে ‘কাঁদা ছোড়াছুড়ির’ খবর ভাইরাল হওয়ার পরপরই সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন ভিডিওতে নিজেকে ‘পুরোপুরি নারীবিদ্বেষী’ দাবি করা ‘আলফা মেল’ ইনফ্লুয়েন্সার টেইটকে রোমানিয়ার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
সে সময়, টুইটারে নিজের ৩৩টি গাড়ি নিয়ে বড়াইয়ের পাশপাশি এগুলো থেকে ‘বিশাল সংখ্যক কার্বন নির্গমনের’ বিষয়টি উল্লেখ করে গ্রেটাকে ট্যাগ করে টুইট করেন টেইট। এর জবাবে, ‘ক্ষুদ্রাকৃতির যৌনাঙ্গ’ সম্পর্কিত একটি ‘কাল্পনিক’ মেইল ঠিকানা পোস্ট করেন গ্রেটা।
yes, please do enlighten me. email me at [email protected] https://t.co/V8geeVvEvg
— Greta Thunberg (@GretaThunberg) December 28, 2022
বর্তমানে সরিয়ে ফেলা এক ইউটিউব ভিডিওতে টেইট বলেন, তার রোমানিয়ায় যাওয়ার ‘৪০ শতাংশ’ কারণ ছিল ‘পুর্ব ইউরোপে ওইসব আবর্জনা ছড়ায় না’ বলে। এখানে তিনি ‘আবর্জনা’ বলতে বুঝিয়েছেন ‘মি টু যুগের’ যৌন নিপীড়ণের অভিযোগের বিষয়টিকে।
‘#MeToo’ হলো পেশাজীবনে উচ্চপদস্থ সহকর্মীর দ্বারা যৌন নির্যাতন, যৌন হয়রানি ও ধর্ষণ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে একটি সামাজিক আন্দোলন, যেখানে ভুক্তভোগীরা নিজেদের হয়রানির অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রোমানিয়ার সরকারী সংস্থা ‘ডিরেকটরেট ফর দ্য ইনভেস্টিগেশন অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড টেরোরিজম (ডিকোট)’র অনুবাদ করা বিবৃতিতে সরাসরি টেইটের নাম উল্লেখ না থাকলেও, ‘তুলনামূলক সন্দেহভাজন’ হিসেবে বিবেচিত পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তারের বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেছে।
ওই বিবৃতি অনুযায়ী, তারা ২৪ ঘন্টার জন্য আটক থাকবেন। এদিকে, রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, টেইট’সহ বাকিদের সর্বোচ্চ ৩০ দিন পর্যন্ত আটক রাখার আর্জি উঠেছে আদালতে।
তদন্তকারীরা এই নিয়ে দ্বিতীয়বার টেইটের ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। এর আগে এপ্রিলে মার্কিন দূতাবাস থেকে অভিযোগ আসে, টেইটের বাড়িতে জোর করে এক মার্কিন নাগরিককে আটকে রাখা হয়েছে। সে সময়, টেইট ভাতৃদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
রোমানিয়ার সংবাদপত্র ‘গান্ডুল’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর পরের মাসগুলো থেকেই তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ জমাচ্ছিলেন আইনজীবিরা। আর টেইট ভাতৃদ্বয় দেশে থাকা অবস্থায়ই যেন তাদের গ্রেপ্তার করা যায়, সেটির জন্য তারা অপেক্ষা করছিলেন।
‘ডিকট’ এই গ্রেপ্তার অভিযানের একটি ভিডিও শেয়ার করেছে, যেখানে বিভিন্ন বিলাসবহুল গাড়ির (টেইটের ভিডিওতে দেখানো গাড়ির সঙ্গে মিলে যায়) অস্পষ্ট ছবির পাশাপাশি বন্দুক, ছুড়ি ও অর্থের মতো বিভিন্ন সামগ্রীও ছিল।