এর আগে ব্রিটিশ গায়িকা অ্যাডেলও ম্যাকনালি’র বিদ্রুপের শিকার হয়েছিলেন।
Published : 22 Apr 2024, 05:30 PM
নিজের বিতর্কিত ইনস্টাগ্রাম পোস্টের জন্য বিশেষ পরিচিতি আছে ব্রিটিশ রেস্তোরাঁঁ মালিক কিথ ম্যাকনালির, যেখানে তারকাদের অপমান করাকে রীতিমতো অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছেন তিনি।
তার এ বিদ্রুপের সর্বশেষ শিকার বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী উদ্যোক্তা জেফ বেজোসের বাগদত্তা লরেন সানচেজ।
নিউ ইয়র্ক শহরের বিখ্যাত রেস্তোরাঁঁ ‘ব্যালথাজার’সহ ডজনখানেকের বেশি রেস্তোরাঁঁর মালিক ম্যাকনালি ১৫ এপ্রিল হঠাৎ করেই নিজ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বেজোস ও সানচেজকে আক্রমণ করে বসেন।
“জেফ বেজোসের নতুন বউ — লরেন সানচেজ — তাকে দেখলে আর কার কার চরম বিরক্তিকর লাগে?” নিজস্ব পোস্টে লেখেন ম্যাকনালি, এর সঙ্গে তিনি এই যুগলের বেশ কিছু ছবিও পোস্ট করেছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে নিউ ইয়র্কভিত্তিক ফ্যাশন সাময়িকী দ্য কাট।
“কী কুৎসিত দম্পতি! এক লাখ কোটি ডলারের মালিক হলে লোকজন কি এমন হয়ে যায়?”
তবে ম্যাকনালির এই অপমানের পর্ব শেষ হওয়ার আগেই প্রমাণ মিলেছে, সানচেজকে তাচ্ছিল্য করা এত সহজ নয়।
ওই বিতর্কিত পোস্টের পর সানচেজের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন বেশ কিছু তারকা। এ ছাড়া, তিনি নিজেও একজন অভিনেত্রী, জনহিতৈষী ও একটি ড্রোন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা।
২০১৯ সালে সানচেজের সঙ্গে সম্পর্কের খবর ফাঁস হওয়ার পরপরই ম্যাকেঞ্জি স্কটের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে বেজোসের। এর পর থেকেই তাদের বিভিন্ন ছবি নিয়ে বিদ্রুপের এই প্রবণতা শুরু হয়েছে, যেখানে বেশিরভাগ ছবি বেজোসের ৫০ কোটি ডলারের ইয়টে তোলা। এ ছাড়া, একজন প্রভাবশালী নারী হিসেবেও ভক্তদের মধ্যে সানচেজের খ্যাতি বাড়ছে।
ম্যাকনেলির পোস্ট সম্পর্কে মার্কিন মডেল ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ক্রিসি টিগান মন্তব্য করেন, “তিনি আসলে খুবই দক্ষ ও দয়াশীল। আর তাকে যারা চেনেন, তারা সবাই এ কথাই বলবেন।”
‘সাইনফিল্ড’ খ্যাত মার্কিন কৌতুকাভিনেতা জেরি সাইনফিল্ডের স্ত্রী জেসিকা এক পোস্টে লিখেছেন, “এই পোস্ট আপনার জঘন্য মনের প্রতিফলন। লরেনের মতো চরিত্রবান হতে আপনাকে দুইবার জন্ম নিতে হবে।”
পরে অবশ্য ওই পোস্ট সরিয়ে নেন জেসিকা।
মার্কিন গণমাধ্যম এমএসএনবিসি’র উপস্থাপক স্টেফানি রুহেল মন্তব্য করেন, সানচেজ একজন ‘প্রতিষ্ঠিত, দয়াশীল, স্মার্ট ও ভালোবাসার যোগ্য’ ব্যক্তি। তিনি আরও যোগ করেন, ম্যাকনালির ওই পোস্টের ‘কোনও মানেই দাঁড়ায় না’।
সানচেজ ম্যাকনেলির অপমানের সরাসরি জবাব না দিলেও বিভিন্ন জনহিতৈশী পোস্ট ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন।
ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনেডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার একটি স্টোরি পোস্ট করেছিলেন সানচেজ, যা এখন আর দেখা যাচ্ছে না। এতে লেখা ছিল, “মানুষ আপনাকে ভালোবাসবে, ঘৃণা করবে। তবে, এর সঙ্গে আপনার কোনও সম্পর্কই নেই।”
এর আগে ব্রিটিশ গায়িকা অ্যাডেলও ম্যাকনালি’র বিদ্রুপের শিকার হয়েছিলেন।
২০২৩ সালে ইনস্টাগ্রামে হঠাৎ করেই ‘হ্যালো’ খ্যাত এ গায়িকাকে আক্রমণ করে বসেন ম্যাকনালি, যেখানে টিভি উপস্থাপক জেমস করডেনের ‘কারপুল ক্যারাওকে’ অনুষ্ঠানের পর্বে অ্যাডেলের উপস্থিতিকে ‘গভীরভাবে ভিত্তিহীন’, ‘বিরক্তিকর’ ও ‘হর্স শিট’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি।
সে সময় তিনি লেখেন, অ্যাডেলের মেইক-আপ এত বেশি ও তার আঙুলের নখ এতটাই বড় ছিল যে, তাকে দেখতে ‘ক্রুয়েলা ডে ভিল’ (ব্রিটিশ উপন্যাস হান্ড্রেড অ্যান্ড ওয়ান ডালমেশিয়ানস’-এর কাল্পনিক চরিত্র)-এর মতো ভয়ঙ্কর লাগছে।