আদালতে জমা দেওয়া নথিতে নিজেদের তালিকাভুক্ত সম্পদের পরিমাণ ১০ থেকে ৫০ কোটি ডলার বলে উল্লেখ করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানিটি।
Published : 22 Jan 2024, 03:35 PM
দেউলিয়া সুরক্ষা চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে নথি জমা দিয়েছে ক্রিপ্টোমুদ্রা টেরাইউএসডি’র মালিক কোম্পানি ‘টেরাফর্ম ল্যাবস (টিএফএল)’।
রোববার ডেলাওয়্যারের আদালতে জমা দেওয়া নথি অনুসারে, ২০২২ সাল থেকে ক্রিপ্টোর বাজারে ধসের মুখে পড়া কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রে ‘চ্যাপ্টার ১১ দেউলিয়া সুরক্ষা’ চেয়েছে।
এর আগে একইভাবে ‘চ্যাপ্টার ১১ দেউলিয়া সুরক্ষা’ চেয়ে ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এফটিএক্স-এর সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রিড। পরবর্তীতে, বাহামা দ্বীপপুঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা হয়।
আদালতে জমা দেওয়া নথিতে নিজেদের তালিকাভুক্ত সম্পদের পরিমাণ ১০ থেকে ৫০ কোটি ডলার বলে উল্লেখ করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানি টেরাফর্ম।
কোম্পানিটি আরও বলেছে, অতিরিক্ত অর্থায়ন ছাড়াই চ্যাপ্টার ১১ মামলাটি চলার সময় কর্মী ও সরবরাহকদের সকল আর্থিক দাবি দাওয়া পূরণ করবে টেরাফর্ম ল্যাবস। এ ছাড়া, ব্লকচেইন ব্যবহারকারীদের জন্য ‘ওয়েব৩’ সেবা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনাও করছে কোম্পানিটি।
“এ নথি জমা দেওয়ার মাধ্যমে নিজস্ব আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কোম্পানির ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে ‘টিএফএল’। এর মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট মামলা ও যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি সংশ্লিষ্ট এক মামলার শুনানিও।” --বিবৃতিতে বলেছে টেরাফর্ম ল্যাবস।
টেরাফর্ম ও এর প্রতিষ্ঠাতা ডু কুওনের বিরুদ্ধে এসইসি’র দায়ের করা দেওয়ানী মামলাটির যোগসূত্র রয়েছে টেরাইউএসডি ধসের সঙ্গে। ‘স্টেবলকয়েন’টি এমনভাবে নকশা করা হয়েছিল যাতে এর দাম সব সময় এক ডলার থাকে। এমনকি এর চেয়েও প্রচলিত ক্রিপ্টো টোকেন লুনা’র ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য, যার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে টেরাইউএসডি’র সঙ্গে।
সম্প্রতি টেরাফর্ম ও এর প্রতিষ্ঠাতা কুওনের বিরুদ্ধে এসইসি’র মামলার শুনানি পিছিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক ফেডারেল বিচারক। এর কারণ ছিল, চার হাজার কোটি ডলার ক্রিপ্টো জালিয়াতির ওই মামলায় অংশ নিতে ডু কুওন যাতে প্রত্যর্পনের সুযোগ পান।
লুনা ও টেরাইউএসডি ধসের পেছনে হাত থাকার অভিযোগে এর আগে ডু কুওনকে চার মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল মন্টেনেগ্রোর আদালত।
দুই বছর আগে লুনা ও টেরাইউএসডি ধসের পর গোটা বিশ্বে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল, তার জন্য টেরাফর্ম ও কুওন উভয়কেই দায়ী করেছে এসইসি। উভয় ক্রিপ্টোমুদ্রা থেকে আনুমানিক লোকসান চার হাজার কোটি ডলারের বেশি। আর এর পেছনে কারণ ছিল, ২০২২ সালের মে মাসে টেরাইউএসডি যখন নিজের এক ডলারের ভিত্তিমূল্য ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়।