২০২২ সালে ওপেনএআইয়ের তৈরি চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর থেকেই নিজস্ব এআই পণ্য বিকাশে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে চীনের বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি।
Published : 29 Jan 2024, 05:35 PM
চীনা কর্তৃপক্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রক্রিয়ায় অনুমোদন শুরুর প্রথম ছয় মাসেই ৪০টির বেশি এআই মডেলকে গণ ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চীনা গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, দেশটির এ পরিকল্পনার লক্ষ্য হল, যুক্তরাষ্ট্রে এআই প্রযুক্তির যে বিকাশ ঘটছে, তা যত দ্রুত সম্ভব ধরে ফেলা।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত দৈনিক ‘সিকিউরিটিস টাইমসের’ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কেবল গত সপ্তাহেই ১৪টি ‘লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম)’ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে চীনের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
চীনে বিভিন্ন এআই মডেল ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার চতুর্থ ব্যাচ ছিল এটি, যেখানে অনুমতি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘শাওমি কর্পোরেশন’, ‘৪প্যারাডাইম’ (ফোর প্যারাডাইম) ও ‘০১ডটএআই’ (জিরোওয়ান ডটএআই)।
গত বছরের অগাস্ট থেকেই বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির তৈরি ‘এলএলএম’-এ নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন দেওয়ার এ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল বেইজিং। এ পদক্ষেপ থেকে এআই প্রযুক্তির বিকাশের পাশাপাশি এর পরিধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার বেলায় চীনের সম্ভাব্য দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত মেলে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
এ অনুমোদন প্রক্রিয়া গ্রহণের পরপরই অগাস্টে এআই মডেলের প্রথম ব্যাচ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল বেইজিং। আর প্রথম ব্যাচে অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছিল বাইদু, আলিবাবা ও বাইটড্যান্স।
এ বছরের জানুয়ারিতে নতুন ব্যাচ ব্যবহারের সবুজ সংকেত দেওয়ার আগে গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে আরও দুটি ব্যাচ সর্বজনীনভাবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল চীনের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এদিকে, চীনা সরকার অনুমতি পাওয়া কোম্পানিগুলোর পুরো তালিকা প্রকাশ না করলেও সিকিউরিটিস টাইমস রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেছে, এরইমধ্যে ৪০টিরও বেশি এআই মডেল প্রকাশ্যে ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে।
২০২২ সালে ওপেনএআইয়ের তৈরি চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর থেকেই নিজস্ব এআই পণ্য বিকাশে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে চীনের বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি।
বিনিয়োগ কোম্পানি সিএলএসএ’র তথ্য অনুসারে, সে সময় চীনের কাছে ১৩০টি এলএলএম ছিল, যা এ খাতে বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের ৪০ শতাংশ। তবে, এর পরও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে পিছিয়ে আছে দেশটি, যাদের বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ৫০ শতাংশ।
বর্তমানে চীনে চ্যাটজিপিটির মতো যে চ্যাটবট নেতৃত্ব দিচ্ছে, সেটি হল বাইদু’র ‘আর্নি বট’। গেল ডিসেম্বরে কোম্পানিটির প্রযুক্তি প্রধান দাবি করেন, এরইমধ্যে চ্যাটবটটির ব্যবহারকারী সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ কোটি।