মে মাসে ‘টিকটক মিউজিক’ নামটি ট্রেডমার্কের জন্য ‘ইউএস পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিসে’ আবেদন করেছিল টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স।
Published : 01 Aug 2022, 05:35 PM
টিকটকের সঙ্গে সঙ্গীত অনুসন্ধান কতটা কাছাকাছি সে বিষয়টি বিবেচনা করলে প্ল্যাটফর্মটির নিজস্ব মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ উন্মোচনের বিষয়টি সম্ভবত মোটেও অবাক করার মতো নয়। ইঙ্গিত মিলেছে, টিকটক এমনই এক ধরনের অ্যাপ নিয়ে কাজ করছে।
মে মাসে ‘টিকটক মিউজিক’ নামটি ট্রেডমার্কের জন্য ‘ইউএস পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিসে’ আবেদন করেছিল টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স।
বাণিজ্য প্রকাশনা বিজনেস ইনসাইডারের খুঁজে বের করা ‘পেটেন্ট ফাইলিং’ অনুযায়ী, ব্যবহারকারীকে সঙ্গীত কেনা, বাজানো, শেয়ার ও ডাউনলোডের সুযোগ দেবে এই সেবা। এ ছাড়া, প্লেলিস্ট তৈরি, শেয়ার ও পরামর্শের পাশাপাশি মিউজিক, লাইভস্ট্রিম অডিও ও ভিডিওতে মন্তব্যের অনুমতি দেবে সেবাটি।
গত নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় ‘টিকটক মিউজিক’ ট্রেডমার্কের আবেদন করেছে বাইটড্যান্স। এ ছাড়া, মিউজিক স্ট্রিমিং নিয়েও আগের অভিজ্ঞতা আছে কোম্পানিটির।
২০২০ সালে ভারত, ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়ায় ‘রেসো’ নামে একটি মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ চালু করেছিল বাইটড্যান্স।
রেসো’র কয়েকটি একই ধরনের ফিচারের কথা উল্লেখ রয়েছে টিকটক মিউজিকের ফাইলিংয়ে, যার মধ্যে আছে প্লেলিস্ট তৈরির সক্ষমতা, সামাজিক মাধ্যমে গান শেয়ার ও অ্যাপের কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগের মতো বিষয়গুলো।
টিকটকের ব্যবহারকারীদের রেসো অ্যাপে নিতেও সামাজিক ভিডিও প্ল্যাটফর্মটিকে ব্যবহার করে বাইটড্যান্স।
‘দ্য ইনফরমেশন’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রাজিলের টিকটক অ্যাপে একটি বাটন রয়েছে, যা ব্যবহারকারীকে রেসো অ্যাপে নিয়ে যায় ও সেখান থেকে তারা পছন্দের গানের পুরো সংস্করণটি শুনতে পারেন। ব্যবহারকারীদের বাইটড্যান্স ইকোসিস্টেমের মধ্যেই থাকতে সাহায্য করে এই ফিচার।
২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকে ভারত, ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়া জুড়ে চার কোটিরও বেশি মাসিক ব্যবহারকারী এসেছেন রেসো অ্যাপে। এই সংখ্যা সামনে আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
বছরের শুরুতে প্রকাশিত ইনসাইডারের প্রতিবেদন অনুসারে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কেবল ভারতেই তিনশ চার শতাংশ মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী বেড়েছে রেসো’র, যা একই সময়ে দেশটির স্পটিফাইয়ের ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধির হারের চেয়ে অনেক বেশি।
তবে, এই সমস্ত তথ্য উপাত্ত যা-ই আভাস দিক না কেন, বাইটড্যান্স রেসো’র কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ তৈরির পরিকল্পনা করছে কি না, সেই বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।
প্রতিবেদন বলছে, সামাজিক মাধ্যম সাইটগুলোর কার্যক্রমে যেমন টিকটকের গভীর প্রভাব পড়েছিল, স্ট্রিমিং অ্যাপ আনলে ঠিক তেমনিভাবে অন্যান্য মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপেও টিকটকের এই পদক্ষেপের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে।
টিকটকের সম্পৃক্ততা মিউজিক স্ট্রিমিং শিল্পে বড় পরিবর্তন আনতে পারে, যা অন্যান্য সেবাকে পরিস্থিতি অনুযায়ী মানিয়ে নিতে বাধ্য করতে পারে বলেও প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।