বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত হয়ে আছে ইন্টারনেটে, বলছে টেকক্রাঞ্চ।
Published : 08 Jul 2023, 10:07 PM
বাংলাদেশের সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তদন্তে নামার কথা জানিয়েছে সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-গভ. সার্ট)।
শনিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলছে, সার্ট টিম ঘটনার একটি বিশদ তদন্ত শুরু করেছে, যার মাধ্যমে তথ্য ফাঁসের মাত্রা ও প্রভাব বোঝার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হবে।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োগ এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সহযোগিতা ও সমর্থন চায় সার্ট, বলে এতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে সাইবার স্পেসে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছ্
গত ৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এ বাংলাদেশের সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত হয়ে আছে ইন্টারনেটে।
টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, আকস্মিকভাবে বাংলাদেশি সাইট থেকে নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের বিষয়টি বুঝতে পেরে এক গবেষক বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ‘বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিমের (বিজিডি ই-গভ সার্ট) সঙ্গে যোগাযোগও করেন।
শনিবার সকালে বিজিডি ই-গভ. সার্ট এর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি আমরা দেখছি। আমরা বিকেলের দিকে হয়ত এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানাব।”
সন্ধ্যায় বিজিডি ই-গভ সার্ট এর জনসংযোগ কর্মকর্তা সুকান্ত চক্রবর্তীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে লাখ লাখ বাংলাদেশির তথ্য ফাঁসের খবরের পর সার্ট টিম তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে সার্ট টিম সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে তার দৃঢ় প্রতিজ্ঞার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে।”
সাইবার স্পেসে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে সার্ট, যার মধ্যে রয়েছে-
সাইবার হুমকি মোকাবেলায় নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানো।
ডিএনএস, এনটিপির মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবা এবং নেটওয়ার্ক মিডলবক্স এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সেগুলো যেন ইন্টারনেটে উন্মুক্ত না থাকে তা নিশ্চিত করা।
সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে কর্মী, গ্রাহক ও সেবাগ্রহীতাদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের আওতায় আনা।
নেটওয়ার্ক ও ব্যবহারকারীদের ওপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি নিশ্চিত করা।
সব সিস্টেমে নিয়মিত ‘ভালনেরাবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট ও পেনিট্রেশন টেস্টিং’ (ভিএপিটি) করানো।
‘দ্যা ওপেন ওয়ার্ল্ডওয়াইড অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি প্রজেক্ট’ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলো কনফিগার ও শক্তপোক্ত করা।
কোনরকম সন্দেহজনক কার্যক্রম চোখে পড়লে তা সার্ট টিমকে রিপোর্ট করা।
বাংলাদেশের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ‘লাখ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁসের’ খবর