নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে এবার সিনেটরদের ফোন দিতে বলছে টিকটক

এ বার্তাটিই বোঝায় “প্রটেক্টিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেইন অ্যাডভারসারি কন্ট্রোলড অ্যাপলিকেশনস অ্যাক্ট” নামের আইনটি কোম্পানির জন্য কত বড় হুমকি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2024, 10:29 AM
Updated : 16 March 2024, 10:29 AM

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ হতে পারে এমন এক বিল পাশ করেছে দেশটির প্রতিনিধি পরিষদ। এর একদিন পরেই, নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর পুরনো কৌশলকেই দ্বিগুণ আকারে প্রয়োগ করেছে কোম্পানিটি।

অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের কাছে নতুন ইন-অ্যাপ মেসেজ পাঠাতে শুরু করেছে। এবারে কোম্পানিটি বলছে, “আপনার সিনেটরকে জানান টিকটক আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আর টিকটক নিষেধাজ্ঞায় ‘না ভোট’ দিতে বলুন তাদের।”

নতুন সতর্কবার্তাগুলো কোম্পানিটির নেওয়া এ ধরনের দ্বিতীয় পদক্ষেপ। প্রতিনিধি পরিষদের ভোটের আগেও কোম্পানিটি ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করেছিল জনপ্রতিনিধিদের কল করতে।

এ পদক্ষেপের উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেট। এরইমধ্যে আইন প্রণেতারা আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। এর কারণ, কোম্পানির আগের পদক্ষেপের পর জনপ্রিতিনিধিদের অফিসগুলোয় ফোনের বন্যা বয়ে গিয়েছিল, আর বেশিরভাগ কলই এসেছিল ‘বিভ্রান্ত কিশোরদের’ কাছ থেকে।

তবে, সর্বশেষ ও নতুন এ নোটিফিকেশনগুলোয় আরও সরাসরি বার্তা ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।

“প্রতিনিধি পরিষদ টিকটক নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছে, যা আপনার মতো ১৭ কোটি আমেরিকানকে প্রভাবিত করে।” – বলা হয় সেখানে।

“এবারে যদি সিনেট ভোট দেয় তবে টিকটকে আপনার সৃজনশীলতার বিকাশ ও আপনার পছন্দের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।”

আগের সতর্কতার মতোই এখানেও ‘কল নাও’ বোতাম যোগ করেছেন টিকটক। ব্যবহারকারীরা এ বোতামে চাপ দিয়ে জিপ কোড দিলেই অ্যাপটি নিজে থেকে ওই অঞ্চলের সিনেটরের অফিসের নম্বর খুঁজে বের করবে।

এ প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে টিকটক কোনো মন্তব্য করেনি বলে লিখেছে এনগ্যাজেট। তবে, এ বার্তাটিই বোঝায় “প্রটেক্টিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেইন অ্যাডভারসারি কন্ট্রোলড অ্যাপলিকেশনস অ্যাক্ট” নামের আইনটি কোম্পানির জন্য কত বড় হুমকি।

বিলটি পাশ হলে, বাইটড্যান্স টিকটক বিক্রি করার জন্য ছয় মাস সময় পাবে। অন্যথায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হবে টিকটক। এর আগে অ্যাপটির বিরুদ্ধে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সেগুলো এত দ্রুত দ্বিপক্ষীয় সমর্থন পয়ানি বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট। এদিকে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগেই জানিয়ে রেখেছেন, সিনেটে বিলটি তার টেবিলে এলে তিনি তাতে স্বাক্ষর করবেন।

পাশাপাশি, ব্যবহারকারীদের কাছে সরাসরি আবেদন করেছেন টিকটকের সিইও টিকটকের শউ চিউ নিজেই। তাদেরদকে নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে বলেছেন তিনি। এ ছাড়া, এ দারুণ প্ল্যাফটর্মকে রক্ষা করার জন্য আইনি অধিকারসহ যা কিছু করা দরকার তারা সব করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন টিকটক প্রধান।