প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীদের কেবল ৩১ শতাংশকে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দেখা গেছে, আর ২৪ শতাংশ ব্যবহারকারী জানেনই না যে এটি কী?
Published : 28 Nov 2023, 03:52 PM
যুক্তরাজ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় তরুণ ও শিশুদের মধ্যে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রবণতা বেশি --এমন তথ্যই উঠে এসেছে এক গবেষণায়।
গবেষণাটি চালিয়েছে যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকম।
সংস্থাটি বলছে, অনলাইনে ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের প্রতি পাঁচ জনের চারজনই (৭৯ শতাংশই) চ্যাটজিপিটি’র মতো জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। আর ৭ থেকে ১২ বছর বয়সীদের বেলায় এ প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রবণতা ৪০ শতাংশ।
জেনারেটিভ এআই এমন এক প্রযুক্তি, যেখানে কেবল প্রম্পটের মাধ্যমেই বিভিন্ন টেক্সট, ছবি বা ভিডিও তৈরি করা যায়।
অফকম বলেছে, প্রাপ্তবয়স্ক ইন্টানেট ব্যবহারকারীদের কেবল ৩১ শতাংশকেই এ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দেখা গেছে, যাদের মধ্যে ৬৯ শতাংশই কখনও এটি ব্যবহার করেননি। আর ২৪ শতাংশ ব্যবহারকারী জানেনই না যে এটি কী?
গবেষণার তথ্য অনুসারে, সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত জেনারেটিভ এআই মডেল হল ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি, যেখানে ১৬ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের মধ্যে ২৩ শতাংশই বলছেন, তারা এটি ব্যবহার করেছেন।
ওই ১৬ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের কাছে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণ জানতে চাওয়ার পর তাদের সিংহভাগই (৫৮ শতাংশ) বলেন, তারা কেবল ‘মজা করার জন্য’ এটি ব্যবহার করেন। আর এক তৃতীয়াংশ ব্যবহারকারী বলেছেন কাজের কথা। এর পাশাপাশি, এক চতুর্থাংশ ব্যবহারকারী বলেছেন, তাদের পড়াশোনায় সহায়ক হিসেবে কাজ করে এ প্রযুক্তি।
এ ছাড়া, ২২ শতাংশ ব্যবহারকারী বলেছেন, তারা বিভিন্ন পরামর্শ পেতে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করেন।
অফকমের পরিকল্পনা ও গবেষণা দলের পরিচালক ইয়ি-চয়ুং তেহ বলেন, “নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া ‘জেন জি’র কাছে স্বাভাবিক ঘটনা। আর জেনারেটিভ এআইও এর ব্যতিক্রম নয়।”
“শিশু ও কিশোর ব্যবহারকারীরা এর সঙ্গে দ্রুতই খাপ খাওয়ানোর পাশাপাশি পুরোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরকেও কাজ ও অবসর উভয় ক্ষেত্রেই এর সক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা চালাতে দেখা গেছে।”
“আমরা জানি, কেউ কেউ এআই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত।”
“অনলাইন নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হিসেবে, আমরা এরইমধ্যে এমন নতুন ও উদিয়মান প্রযুক্তিগুলোর বিভিন্ন সুবিধা ও ঝুঁকি আরও গভীরভাবে বোঝার লক্ষ্যে কাজ করছি যাতে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা সমুন্নত রেখে উদ্ভাবন খাত আরও এগিয়ে যায়।”
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, ৮ থেকে ১৭ বছর বয়সী এক পঞ্চমাংশের বেশি ব্যবহারকারী নিজেদের সামাজিক মাধ্যম প্রোফাইলে তাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি বলে উল্লেখ করেছেন। ফলে, তাদের ক্ষতিকারক কনটেন্টের মুখে পড়ার ঝুঁকিও বেশি।
২০২৩ সালের মে মাসের পাওয়া ডেটার ভিত্তিতে অফকমের গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ফেইসবুক নয়, বরং ইউটিউব।
অফকমের প্রতিবেদন অনুসারে, এই গবেষণায় অংশ নেওয়া দুই তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীই এর আগের চার সপ্তাহে অনলাইনে ক্ষতিকারক কনটেন্ট দেখতে পেয়েছেন। এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশের বেশি ব্যবহারকারীর দাবি, এমন কনটেন্ট দেখা গেছে তাদের ‘পার্সোনালাইজড’ ফিডে। আর এর পেছনে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করেছে প্ল্যাটফর্মের অ্যালগরিদম।