টুইটারে ফের নিষিদ্ধের পর পারলারও ফসকে গেল ওয়েস্টের

পারলারের মালিক কোম্পানি এক বিবৃতিতে ইয়ে’র সঙ্গে চুক্তি বাতিল প্রসঙ্গে বলে, “নভেম্বরের মাঝামাঝি পারষ্পরিক সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2022, 12:53 PM
Updated : 3 Dec 2022, 12:53 PM

টুইটারে ফিরে আসার দুই মাস পর আবার প্ল্যাটফর্মটি থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন মার্কিন র‍্যাপার কানিয়ে ওয়েস্ট। এ ছাড়া, সামাজিক প্ল্যাটফর্ম পারলার কেনার পরিকল্পনা থেকেও সরে এসেছেন তিনি।

মার্কিন এই র‍্যাপার বর্তমানে নিজের পরিচয় দিচ্ছেন ‘ইয়ে’ নামে। 

পারলারের মালিক কোম্পানি পার্লেমেন্ট টেকনোলজিস বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ইয়ে’র সঙ্গে চুক্তি বাতিল প্রসঙ্গে জানায়, “নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দুই পক্ষের সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

অক্টোবরে ইয়ে’র সঙ্গে এই চুক্তি পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছিল পার্লেমেন্ট টেকনোলজিস। সে সময় কোম্পানিটি বলেছিল, ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে এই চুক্তি সম্পন্নের প্রত্যাশা করছে তারা।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ‘ইহুদি বিরোধী’ বক্তব্যের কারণে ব্যপক সমালোচনার মুখে পড়েন ইয়ে।

২২ নভেম্বর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার ব্যক্তিগত ক্লাবে ট্রাম্প ও পরিচিত ‘শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী’ নিক ফুয়েন্তেসের সঙ্গে ইয়ে’র নৈশভোজের বিষয়টি উঠে আসে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

সেপ্টেম্বরে, পোষাক বিক্রেতা কোম্পানি গ্যাপ ইনকর্পোরেটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেন ইয়ে। অক্টোবরে, তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে জার্মান ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা আডিডাস।

পারলার অ্যাপের আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০১৮ সালে। ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় সমর্থনের কারণে মার্কিন রক্ষণশীলদের কাছে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মটি মুছে দিয়েছিল অ্যাপল ও গুগল। তবে, নিজস্ব কনটেন্ট ও মডারেশন ব্যবস্থা আপডেট করায় তারা ২০২১ সালে পুনরায় অ্যাপটি ফিরিয়ে আনে।

ইলন মাস্কের টুইটার চুক্তির আগে গেটআর, গ্যাব ও ট্রুথ সোশালের মতো নিজেদের ‘বাক-স্বাধীনতার বিকল্প’ হিসেবে দাবি করা বেশ কয়েকটি সামাজিক প্ল্যাটফর্মের একটি হলো পারলার।

অন্যদিকে, শুক্রবার ইয়ে’র অ্যাকাউন্টে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক বলেন, প্ল্যাটফর্মে ‘সহিংসতায় উস্কানি দেওয়া বন্ধের’ নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন তিনি।

অক্টোবরে ইয়ে’র টুইটার প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন নিজেকে ‘বাক স্বাধীনতার ধারক’ হিসেবে দাবি করা মাস্ক।

বৃহস্পতিবার মাস্কের এক টুইটের জবাব দেওয়ার এক ঘন্টার মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় ইয়ে’র অ্যাকাউন্ট, যেখানে এক টুইটার ব্যবহারকারী তাকে অনুরোধ করে বলেন, “ইলন, দয়া করে কানিয়ের বিষয়টি সুরাহা করুন।”

“আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। এর পরও, পরবর্তীতে তিনি আবার আমাদের সহিংসতায় উস্কানি সংশ্লিষ্ট নিয়মটি লঙ্ঘন করেন। এর ফলে, তার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হবে।” --ওই টুইটের জবাবে বলেন মাস্ক।

ইয়ে’র অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধের আগে এতে তিন কোটিরও বেশি ফলোয়ার ছিল। এমনকি তার করা একটি টুইট সীমিত করে দেয় টুইটার। তবে, ওই পোস্টের সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।