মাস্ক ও এসইসি’র বৈরিতা অনেক আগের। এমনকি মার্কিন জাতীয় টেলিভিশনে মাস্ক একবার ঘোষণা দিয়েছিলেন, সংস্থাটির প্রতি তার ‘কোনো শ্রদ্ধা নেই’।
Published : 07 Oct 2023, 06:22 PM
যুক্তরাষ্ট্রে টুইটার (এক্স) অধিগ্রহণ বিষয়ক তদন্তে সহায়তা করতে রাজি হননি ইলন মাস্ক। ফলে, তার বিরুদ্ধে মামলা করছে দেশটির আর্থিক নিয়ন্ত্রকরা।
মার্কিন সংস্থা ‘সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)’ ফেডারেল আদালতে বলেছে, এই চুক্তি নিয়ে তৃতীয় দফা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য মাস্ককে অনুরোধ করেছিল সংস্থাটি।
এসইসি’র এই পদক্ষেপের আগে সংস্থাটির কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন মাস্কের আইনজীবি। এতে লেখা ছিল, মাস্ক এই অনুরোধ মানতে নারাজ।
আর এসইসি’র কার্যক্রমকে ‘হয়রানিমূলক’ বলেও অভিযোগ করা হয় চিঠিতে।
“যাচাইবিহীন সরকারি পদক্ষেপ খুবই বিপজ্জনক। তাদের আগের রেকর্ডও ভালো না। কমিশনের এ হস্তক্ষেপ নিয়ে মাস্ক একমত নন। তাই আপনাদের দাবি নাকচ করেছেন তিনি।” --লেখেন মাস্কের আইনজীবি অ্যালেক্স স্পিরো।
মাস্ক ও এসইসি’র বৈরিতা অনেক আগের। এমনকি মার্কিন জাতীয় টেলিভিশনে মাস্ক একবার ঘোষণা দিয়েছিলেন, সংস্থাটির প্রতি তার ‘কোনো শ্রদ্ধা নেই’।
এর মধ্যেই গত বছর চার হাজার চারশ কোটি ডলারে টুইটার অধিগ্রহণ নিয়ে তদন্ত শুরু করে এসইসি।
স্যান ফ্রান্সিস্কোর আদালতে জমা দেওয়া নথি অনুসারে, তদন্তের মূল বিষয় হল টুইটার অধিগ্রহণের সময় মাস্ক যে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন, তা নিরাপত্তা বিষয়ক কোনো আইন ভঙ্গ করে কি না।
এসইসি বলেছে, আইনি নোটিশ পাঠানোর পর জুলাইয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আড়াই দিনের সাক্ষ্যপর্বে অংশ নিয়েছেন মাস্ক। তবে, এ বিষয়ক প্রায় অর্ধেক নথি বৈঠকের পর এসেছিল বলে মাস্কের কাছ থেকে আরেকবার সাক্ষ্য নিতে চায় সংস্থাটি।
মাস্কের অনিচ্ছার বিপরীতে সংস্থাটির কাছে চিঠি পাঠান মাস্কের অ্যাটর্নি। এতে উল্লেখ ছিল, সংস্থার কর্মীরা “কেন মাস্কের সময় নষ্ট করছেন, তা পরিষ্কার নয়। আর এরইমধ্যে যথেষ্ট সময় দিয়েছেন তিনি।”