অভিযোগ গ্রাহক ঠকানোর, অস্ট্রেলিয়ায় মামলায় ফিটবিট

অস্ট্রেলিয়ার ভোক্তা আইন ভর্তুকি দাবির জন্য ৪৫ দিনের সময়সীমা আরোপ করে না। পণ্য ত্রুটিপূর্ণ হলে বদলানোর বেলায় পণ্য কবে কেনা হয়েছিল, সেটির ওপরও নির্ভর করে না।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2022, 03:54 PM
Updated : 24 Oct 2022, 03:54 PM

ত্রুটিযুক্ত ডিভাইসের গ্যারান্টি নিয়ে গ্রাহককে ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ফিটবিট এলএলসি’র বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রকরা।

‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশন (এসিসিসি)’ বলেছে, ২০২০ সালের মে থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ফিটবিট দাবি করেছে, শিপমেন্ট বা কেনার ৪৫ দিনের মধ্যে ত্রুটিযুক্ত পণ্য ফেরত না দিলে গ্রাহকরা এর কোনো ক্ষতিপূরণ পাবেন না, যা অস্ট্রেলিয়ার ভোক্তা আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

“সকল গ্রাহকেরই আছে একটি স্বয়ংক্রিয় ভোক্তা গ্যারান্টি অধিকার, যা বাতিল, সীমিত বা পরিবর্তন করা যায় না। উৎপাদকের দেওয়া বিভিন্ন ওয়ারেন্টির বাইরেও এ অধিকার আছে।” --বলেছেন এসিসিসি’র চেয়ারপার্সন জিনা ক্যাস-গোটলিয়েব।

নিয়ন্ত্রকরা জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার ভোক্তা আইন এই ৪৫ দিনের মধ্যে ভর্তুকি দেওয়ার সময়সীমা আরোপ করে না। এ ছাড়া, পণ্য ত্রুটিপূর্ণ হলে বদলানোর বেলায় পণ্য কবে কেনা হয়েছিল, সেটির ওপরও নির্ভর করে না।

এসিসিসি’র অভিযোগ, ফিটবিট গ্রাহকদেরকে বলেছে যে ত্রুটিযুক্ত মূল ডিভাইস একবার পাল্টানোর পর এতে ফিটবিটের দুই বছরের ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে গেলে, এটি দ্বিতীয়বার পাল্টানোর সুযোগ নেই।

এই প্রসঙ্গে রয়টার্স গুগল মালিকানাধীন এই কোম্পানির মন্তব্য জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর মেলেনি।

কোম্পানিটির ওপর জরিমানা ও নিষেধাজ্ঞা দাবি করা এসিসিসি বলেছে, তাদের মামলায় ৫৮টি এমন উদাহরণ আছে, যেখানে ত্রুটিযুক্ত ডিভাইসের অভিযোগ জানানোর পর ফিটবিটের কাছ থেকে ফেরত এসেছেন গ্রাহকরা।