প্রস্তাবিত এআই নীতিমালায় ‘ইউরোপ ছাড়ার হুমকি’ চ্যাটজিপিটি নির্মাতার

টেক্সট বা ছবি তৈরিতে বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার প্রশিক্ষণে ‘কী ধরনের কপিরাইট করা উপাদান ব্যবহার করেছে’ সেটি প্রকাশের শর্তও থাকতে পারে এতে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2023, 12:39 PM
Updated : 27 May 2023, 12:39 PM

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থায় পরিকল্পিত নীতিমালা মানতে ব্যর্থ হলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সরে আসার বিষয়টি বিবেচনায় রাখার কথা জানিয়েছেন চ্যাটজিপিটি’র নির্মাতা কোম্পানি ওপেনএআই’র প্রধান স্যাম অল্টম্যান।

ইইউ’র পরিকল্পিত এই নীতিমালা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ‘বিশেষভাবে’ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রথম আইন হতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।

আর টেক্সট ও ছবি তৈরির জন্য বিভিন্ন এআই কোম্পানি নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার প্রশিক্ষণে ‘কী ধরনের কপিরাইট করা উপাদান ব্যবহার করেছে’ সেটি প্রকাশের শর্তও থাকতে পারে এতে।

“ইইউ এআই অ্যাক্ট’-এর বিদ্যমান খসরা অতিমাত্রায় নিয়ন্ত্রিত।” --বলেন স্যাম অল্টম্যান।

“তবে আমরা শুনেছি এটি পেছাবে।”

এআই কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার প্রশিক্ষণে বিভিন্ন শিল্পী, সংগীতজ্ঞ ও অভিনেতার কাজ ব্যবহারের পাশাপাশি তাদের কার্যক্রম অনুকরণের অভিযোগ উঠেছে সৃজনশীল জগতের অনেকের কাছ থেকেই।

টাইম ম্যাগাজিনের তথ্য অনুসারে, অল্টম্যানের শঙ্কার জায়গা হলো ওপেনএআই’র পক্ষে এআই অ্যাক্ট-এর কয়েকটি নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা মেনে চলা প্রযুক্তিগতভাবে সম্ভব হবে না।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের এক আয়োজনে অল্টম্যান যোগ করেন, তিনি আশাবাদী, এআই বিভিন্ন নতুন চাকরি তৈরির পাশাপাশি বৈষম্য কমাবে।

এর পাশাপাশি, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও এআই কোম্পানি ডিপমাইন্ড ও অ্যানথ্রপিকের সঙ্গে দেখা করে এই প্রযুক্তির বিভিন্ন ঝুঁকি নিয়ে কথা বলেন। এর মধ্যে ছিল ‘ভুল তথ্য থেকে শুরু করে জাতীয় নিরাপত্তা এমনকি ‘অস্তিত্বগত হুমকির’ মতো বিষয়গুলো। আর এগুলো পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম ও নীতিমালার কথাও উঠে আসে আলোচনায়।

কয়েকজন বিশেষজ্ঞ শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, অতি বুদ্ধিমান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা মানব অস্তিত্বের জন্য হুমকি।

তবে সুনাক বলেন, এআই ‘মানবতাকে ইতিবাচক উপায়ে পরিবর্তন’ করার পাশাপাশি ‘ব্রিটিশ জনগণের জন্য তুলনামূলক ভাল ফলাফল বয়ে আনতে পারে। আর জনসেবার উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদীয়মান সুযোগও এতে সহায়ক হবে।

হিরোশিমায় অনুষ্ঠিত জি৭ সম্মেলনে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ এআই তৈরির ‘আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একমত হন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান ও কানাডার নেতারা।

আর ইইউ’র কোনো আইন কার্যকর হওয়ার আগে গুগলের মালিক কোম্পানি অ্যালফাবেটের সঙ্গে একটি ‘এআই চুক্তি’ করার লক্ষ্যস্থির করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ব্রাসেলসে গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দার পিচাইয়ের সঙ্গে দেখা করা ইইউ’র শিল্প প্রধান থিয়েরি ব্রেটনের তথ্য অনুসারে, এআই নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।