এআই প্রযুক্তির সক্ষমতা, সীমাবদ্ধতা, ব্যবহার ও অপব্যবহার নিয়ে জনসমক্ষে প্রতিবেদন প্রকাশ করার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে বিধিমালায়।
Published : 30 Oct 2023, 01:08 PM
বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা বিকাশের জন্য বিধিমালা তৈরিতে একমত হতে যাচ্ছে জি৭ সদস্যভুক্ত দেশগুলো।
সোমবার সংস্থাটির সদস্যরা এ বিষয়ে ঘোষণা দেবে বলে এক নথিতে বিষয়টি উঠে আসার খবর জানিয়েছে রয়টার্স। বিভিন্ন দেশের সরকার এরইমধ্যে উদীয়মান এই প্রযুক্তির সম্ভাব্য ঝুঁকি ও অপব্যবহার কমিয়ে আনার উপায় খুঁজছে।
রয়টার্সের দেখা নথি অনুসারে, প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে তৈরি এই ঐচ্ছিক ‘কোড অফ কন্ডাক্ট’ বিভিন্ন দেশের এআই সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে বড় পরিবর্তন আনবে।
জি৭ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রাথমিক সদস্য হচ্ছে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। এর পাশাপাশি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোও সংস্থাটির অংশ। গেল মে মাসে ‘হিরোশিমা এআই প্রসেস’ নামের এই প্রশাসনিক ফোরামের প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়।
১১টি শর্তের এই কোডের লক্ষ্য, ‘গোটা বিশ্বে নিরাপদ, সুরক্ষিত ও বিশ্বাসযোগ্য এআই ব্যবস্থার প্রচারণা করা ও উন্নত এআই ব্যবস্থা তৈরি করা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে একটি গাইডলাইন তৈরি করে দেওয়া’। জি৭-এর নথি অনুসারে, এর মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভিত্তি মডেল ও জেনারেটিভ এআই ব্যবস্থাও।
রয়টার্স বলছে, এই ধরনের উন্নত প্রযুক্তির বিভিন্ন ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পাশাপাশি এর থেকে বিভিন্ন সুবিধা আদায়ে সহায়তা করাও বিধিমালার অংশ।
নতুন এই বিধিমালায় বিভিন্ন কোম্পানিকে এআই ব্যবস্থার সম্ভাব্য ঝুঁকি শনাক্ত, পর্যবেক্ষণ ও কমিয়ে আনার পাশাপাশি বাজারে প্রচলিত এআই পণ্যগুলোর অপব্যবহার ঠেকানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
এআই প্রযুক্তির সক্ষমতা, সীমাবদ্ধতা, ব্যবহার ও অপব্যবহার নিয়ে জনসমক্ষে প্রতিবেদন প্রকাশ করার বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে বিধিমালায়। পাশাপাশি, এগুলোর জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বানও রয়েছে এতে।
এদিকে, ‘এআই অ্যাক্ট’ চালু করে এই উদীয়মান প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে অগ্রগামী ভূমিকা রেখেছে ইইউ। অন্যদিকে, অর্থনৈতিক বৃদ্ধির কথা বিবেচনায় রেখে এ বিষয়ে কিছুটা শিথিল জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো।
এ মাসের শুরুতে জাপানের কিয়োটো শহরে ইন্টারনেট পরিচালনা বিষয়ক এক ফোরামে ইউরোপীয় কমিশনের ডিজিটাল প্রধান ভেরা জউরোভা বলেন, সম্ভাব্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে একটি ‘কোড অফ কন্ডাক্ট’। এমনকি কোনো নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালুর আগে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে এটি।