প্রথমবারের মতো ‘নিষিদ্ধ কনটেন্ট না মোছার’ অভিযোগে মেটা মালিকানাধীন মেসেজিং সেবা হোয়াটসঅ্যাপকে জরিমানা করেছে রাশিয়া।
বৃহস্পতিবার এই মেসেজিং সেবাকে ৩০ লাখ রুবল (৩৭ হাজার ৮০ ডলার) জরিমানা করে রাশিয়ার এক আদালত।
গত বছর সেবাটির মালিক কোম্পানি মেটাকে একটি ‘চরমপন্থী’ প্রতিষ্ঠান আখ্যা দেয় মস্কো। তবে, রাশিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপটি নিষিদ্ধ কনটেন্ট সরাতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে এর আগে জরিমানার মুখে পড়েনি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
মেটার অন্য দুই পরিষেবা ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রাম এখন রাশিয়ায় নিষিদ্ধ। এর আগে তাদের পাশাপাশি ‘আপত্তিকর কনটেন্ট’ নিয়ে টুইটার ও গুগলের মতো প্ল্যাটফর্মও জরিমানার মুখে পড়েছে।
তবে, রাশিয়ার ডেটা সংশ্লিষ্ট আইন ও রাশিয়ার ব্যবহারকারীদের ডেটা দেশীয় কোনো সার্ভারে সংরক্ষণের মতো বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে রাজি না হওয়ার অভিযোগে এর আগেও দেশটিতে জরিমানার মুখে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ‘আরআইএ’র প্রতিবেদনে উঠে আসে, হোয়াটসঅ্যাপ ‘লিরিকা’ নামে এক ঔষধের তথ্য মুছতে রাজি না হওয়ায় এই জরিমানা আরোপ করা হয়। রাশিয়ায় এই ঔষধের বিক্রি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ।
এই প্রসঙ্গে রয়টার্স মেটার মন্তব্য জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক জবাব মেলেনি।
এ ছাড়া, উইকিপিডিয়া’র তত্ত্বাবধায়ক কোম্পানি উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনকেও একই পরিমাণ জরিমানা করেছে দেশটির আদালত। রাশিয়ার দৃষ্টিতে, তারা ইউক্রেইনে মস্কোর সামরিক অভিযান সংশ্লিষ্ট ‘ভুল তথ্য’ সরাতে ব্যর্থ হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে রয়টার্সকে তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেয়নি উইকিমিডিয়া। তবে, এর আগে তারা বলেছে, রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ এমন তথ্য নিয়ে অভিযোগ করেছে, যা ভালোভাবে নথিভুক্ত করা ও উইকিপিডিয়ার মানদণ্ড মেনে চলে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই কনটেন্ট, সেন্সরশিপ, ডেটা ও স্থানীয় প্রতিনিধিত্ব প্রশ্নে বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছে রাশিয়া।