ক্রিপ্টোমুদ্রা নিচ্ছে আফ্রিকার সুপারশপ চেইন ‘পিক এন পে’

যারা প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সেবা পাওয়ায় পিছিয়ে আছেন বা সাশ্রয়ী ও সুবিধাজনক উপায়ে লেনদেন করতে চান, তাদের মধ্যে ক্রমাগত বাড়ছে ক্রিপ্টোমুদ্রার ব্যবহার।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Nov 2022, 12:26 PM
Updated : 2 Nov 2022, 12:26 PM

দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় সুপারশপগুলোর একটি হলো ‘পিক এন পে’। নিজেদের বিভিন্ন সুপারশপে বিকল্প অর্থ পরিশোধ ব্যবস্থা হিসেবে ক্রিপ্টোমুদ্রা যুক্ত করার একটি পাইলট প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে কোম্পানিটি।

দেশটির ‘ফিনান্সিয়াল সেক্টর কন্ডাক্ট অথরিটি’ ক্রিপ্টো সম্পদকে একটি ‘আর্থিক পণ্য’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মঙ্গলবার কোম্পানিটির এই ঘোষণা এলো।

এই সিদ্ধান্তে ক্রিপ্টোমুদ্রায় সরকারের নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি একে অর্থ লেনদেনে মূলধারার পদ্ধতি হিসেবে আনল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

“যারা প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সেবা পাওয়ায় পিছিয়ে আছেন বা সাশ্রয়ী ও সুবিধাজনক উপায়ে লেনদেন করতে চান, তাদের মধ্যে ক্রমাগত বাড়ছে ক্রিপ্টোমুদ্রার ব্যবহার।” --এক বিবৃতিতে বলেছে আফ্রিকার আরও ছয়টি দেশে ব্যবসা করা এই চেইন শপ।

“বিটকয়েন গ্রহনের মাধ্যমে অনেক কোম্পানিই এতে সাড়া দিচ্ছে।”

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ওয়েস্টর্ন কেপ’ রাজ্যের ১০টি সুপারস্টোরে আগেই বাছাই করা পরীক্ষকদের সহায়তায় প্রকল্পটির প্রথম ধাপের পরীক্ষা চালিয়েছে কোম্পানিটি।

আসন্ন মাসগুলোতে নিজেদের সকল স্টোরে এই সুবিধা চালুর লক্ষ্যে গ্রাহকসহ আরও ২৯টি স্টোরে এর বিস্তৃতি বাড়ানোর কথা জানিয়েছে পিক এন পে।

নিজেদের সবশেষ পাইলট প্রকল্পে ক্রিপ্টো ওয়ালেট ‘ইলেক্ট্রাম’ ও ‘ক্রিপ্টো কনভার্ট’ নামে একটি অ্যাপের সঙ্গে জোট বেঁধেছে এই স্টোর।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্রিপ্টোকনভার্ট ও পিক এন পে’র মধ্যে সংযোগ ঘটায় ইলেক্ট্রামের অর্থ পরিশোধের প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ‘বিটকয়েন লাইটনিং’ প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের সুযোগ পান গ্রাহকরা।

“দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্রিপ্টোর মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।” --বলেছেন ক্রিপ্টোকনভার্টের প্রতিষ্ঠাতা ক্যারেল ভ্যান উইক।

“তবে, আমরা এরইমধ্যে সমাজের এমন কিছু অংশে এটি গ্রহণ করতে দেখছি, যেখানে প্রচলিত আর্থিক ব্যবস্থা প্রবেশের সুযোগ ছিল না।”