শুমার বলেছেন, তিনি যে এআই আইনের রূপরেখা বানাচ্ছেন, তার মূল ভিত্তি হবে বিশেষজ্ঞদের মতামত ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন সমস্যা।
Published : 10 May 2024, 01:30 PM
শিগগিরই এআই আইনের একটি কাঠামো প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার।
গেল বুধবার শুমার বলেন, আসন্ন সপ্তাহগুলোর কোনও একদিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকি ও সম্ভাব্য সুবিধাগুলো নিয়ে তিনি একটি প্রস্তাব দেবেন, যা পরবর্তীতে বিভিন্ন ভাগে আইনে রূপান্তর করা যাবে।
এআই কীভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বা দেশটির নাগরিকদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়ে বেশ কিছু সময় ধরেই উদ্বিগ্ন বাইডেন প্রশাসন ও আইন প্রণেতারা।
আর তারা এআই প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স। তবে এ বিষয়ে খুব কমই অগ্রগতি দেখিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। অন্যদিকে, এআই আইনের খসড়া বানিয়ে এরইমধ্যে এগিয়ে রয়েছে ইউরোপ।
শুমার বলেছেন, তিনি যে এআই আইনের রূপরেখা বানাচ্ছেন, তার মূল ভিত্তি হবে বিশেষজ্ঞদের মতামত ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন সমস্যা। আর এক্ষেত্রে বিবেচনায় আনা হবে কারো মেধাসত্ত্ব ও শ্রম অধিকারে এআইয়ের প্রভাব থেকে তৈরি ‘কেয়ামতের পরিস্থিতি’র বিষয়টি।
“এ রোডম্যাপ, যা কয়েক সপ্তাহেই প্রকাশ পেতে যাচ্ছে, এতে আপনি বিভিন্ন এমন ভাল নির্দেশিকা ও ধারণা দেখতে পারবেন, যেখানে উল্লেখ করা থাকবে, কংগ্রেসের এ বিষয়ে কীভাবে এগোনো উচিৎ,” ওয়াশিংটনে আয়োজিত এক এআই সম্মেলনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন শুমার।
“পাশাপাশি এতে আপনি এআই নীতিমালাকে আইনে রূপান্তর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কমিটিকেও ভূমিকা নিতে দেখবেন।”
মার্কিন কর্মকর্তারা সতর্ক করে আসছেন, এআই’তে পক্ষপাতমূলক আচরণের পাশাপাশি ডিপফেইক প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের বিষয়টি সহজ করে ফেলার মতো ঝুঁকি রয়েছে।
তারা এমন শঙ্কাও করছেন, বিভিন্ন বাজে ব্যবস্থার হাতে থাকা শক্তিশালী এআই মডেল ‘বায়োওয়েপেনস বা জৈব অস্ত্র’ তৈরি এমনকি বড় সাইবার আক্রমণের কাজে ব্যবহৃত হতে পারে, বিশেষ করে চীনকে ঘিরে।
“আমরা যদি হাত গুটিয়ে বসে থাকি, তবে চীন নিজের পুরোপুরি ভিন্ন সিস্টেম দিয়ে এআইয়ের মাধ্যমে ফেইশল রিকগনিশন ও নজরদারির মতো কার্যক্রম চালিয়ে আমাদের চেয়ে এগিয়ে যেতে পারে,” বলেন শুমার।
এ ছাড়া, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এআইয়ের নেতিবাচক প্রভাবের ঝুঁকির কথাও তুলে ধরেছেন তিনি।
শুমারের মতে, আইনপ্রণেতারা এক্ষেত্রে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে পারেন।
“কয়েকটি কমিটি অন্যদের চেয়ে বেশি কিছু করবে। আর আমরা এমন বিশাল কোনও পরিকল্পনার জন্যেও অপেক্ষা করব না, যা সবকিছুকে নিয়ে কথা বলবে।”