ট্রাম্পসহ বিতর্কিত মুখদের টুইটারে ফেরাচ্ছেন মাস্ক

মাস্ক বিতর্কিত ব্যক্তিদের প্ল্যাটফর্মে ফেরত আনার চেষ্টা করছেন এমন এক সময়ে, যখন কোম্পানির কর্মীরাই বিদ্রোহ করে বসেছেন তার বিরুদ্ধে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2022, 09:31 AM
Updated : 19 Nov 2022, 09:31 AM

দাঙ্গা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে নিষিদ্ধ হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে টুইটারে ফিরিয়ে আনার পাঁয়তারা করছেন ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফেরাতেই ইতোমধ্যেই এক জরিপ চালু করেছেন চিফ টুইট।

মাস্ক টুইটার জরিপ চালু করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৫০ লাখের বেশি ভোট পড়েছে এতে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইটার অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৫৪ শতাংশের বেশি অংশগ্রহণকারী।

মাস্ক ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফেরত আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মে মাসেই। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে টুইটারসহ প্রথমসারির সবগুলো সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মে একযোগে নিষিদ্ধ হয়েছিলন ট্রাম্প।

কেবল ট্রাম্প নয়, ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন বিতর্কিত ব্যক্তির টুইটার অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু হয়েছে টুইটারে। এর মধ্যে আছে কমেডিয়ান ক্যাথি গ্রিফিন এবং মনোবিজ্ঞানী জর্ডান পিটার্সনের টুইটার অ্যাকাউন্ট।

মাস্ক বিতর্কিত ব্যক্তিদের প্ল্যাটফর্মে ফেরত আনার চেষ্টা করছেন এমন এক সময়ে, যখন কোম্পানির কর্মীরাই বিদ্রোহ করে বসেছেন তার বিরুদ্ধে। 

তিন হাজারের বেশি কর্মী ছাটাইয়ের পর বৃহস্পতিবারে অবশিষ্ট কর্মীদের আরও কঠোর পরিশ্রম করার অন্যথায় ইস্তফা দেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে ইমেইল পাঠিয়েছিলেন মাস্ক। হিতে বিপরীত হয়েছে সেই ইমেইলে, দলে দলে পদত্যাগ করেছেন হাজারের বেশি টুইটার কর্মী।

পরিস্থিতি এতোই নাজুুক হয়ে পড়েছে যে প্ল্যাটফর্মটি আদৌ চালু থাকবে কি না, সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল সংশ্লিষ্টদের মনে। রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবারে কোম্পানির অবশিষ্ট কোডারদের স্যান ফ্রান্সিসকোর অফিসে ডেকে পাঠিয়েছেন মাস্ক। গত ছয় মাসে প্রোগ্রামারদের লেখা কোড কী অর্জন করেছে তার ফিরিস্তি জানতে চেয়েছেন তাদের কাছে।

টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই প্রধান নির্বাহী পারাগ আগরাওয়ালসহ উচ্চপদস্থ কর্মীদের ছাটাই করেছেন মাস্ক। শুক্রবারে খবর রটেছে, চাকরি খুইয়েছেন টুইটারের বিজ্ঞাপন বিভাগের প্র্রধান রবিন হুইলার। আগের সপ্তাহেই টুইটারে থেকে যাওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। 

অন্যদিকে, মার্কিন সরকারের কাছ থেকেও ছাড় পাচ্ছেন না মাস্ক। টুইটার মার্কিন নাগরিকদের ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে হোয়াইট হাউজ। 

নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, খরচ কমাতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সেন্টারের মধ্যে একটি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে টুইটার।