হোয়াটসঅ্যাপ থেকে দূরে থাকতে বললেন টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা

কার্যপ্রণালীতে মৌলিক পরিবর্তন না আনলে ‘হোয়াটসঅ্যাপ কখনোই নিরাপদ হবে না’ বলে দাবি করেছেন দুরভ।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2022, 12:48 PM
Updated : 7 Oct 2022, 12:48 PM

ফোন হ্যাকারের কবলে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে হোয়াটসঅ্যাপ বাদে অন্য ‘যে কোনো মেসেজিং অ্যাপ’ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন এনক্রিপ্টেড মেসেজিং সেবা টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভ।

গত সপ্তাহেই নিজস্ব অ্যাপের একটি নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ওই ত্রুটির সুযোগ নিয়ে ভুক্তভোগীর নম্বরে ম্যালওয়্যারবাহী ভিডিও পাঠিয়ে ডিভাইস হ্যাক করার সুযোগ আছে হ্যাকারদের।

সে প্রসঙ্গেই টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভ নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে বলেছেন, “হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ফোনের সবকিছুতেই পুরোপুরি প্রবেশাধিকার পেতে পারে হ্যাকাররা।”

“প্রতি বছর আমরা হোয়াটসঅ্যাপের এমন কিছু নতুন সমস্যা সম্পর্কে জানতে পারি, যা ব্যবহারকারীর ডিভাইসের সব কিছুকে ঝুঁকিতে ফেলে। আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেও কিছু যায় আসে না; আপনার ফোনে যদি হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টল করা থাকে, তবে আপনার ডিভাইসের প্রতিটি অ্যাপের সকল ডেটায় প্রবেশ করা যাবে।”

এই নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো আসলে এক একটি পরিকল্পিত ‘ব্যাকডোর’, যা বিভিন্ন দেশের সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও হ্যাকারদেরকে এনক্রিপশন এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা এড়ানোর সুযোগ করে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছে বলে দাবি স্বেচ্ছা-নির্বাসনে থাকা রাশিয়ার এই টেক ধনকুবেরের।

কার্যপ্রণালীতে মৌলিক পরিবর্তন না আনলে ‘হোয়াটসঅ্যাপ কখনোই নিরাপদ হবে না’ বলেও দাবি করেছেন দুরভ।

‘প্রাইভেসি-ফার্স্ট’ অ্যাপ হিসেবে পরিচিতি আছে টেলিগ্রামের। বর্তমানে ৭০ কোটির বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী আছে টেলিগ্রামের।

অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপের নিয়মিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম-বেশি দুইশ কোটি। ব্যবহারকারীর সংখ্যার বিচারে হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা চীনের উইচ্যাট এবং ফেইসবুকের মেসেঞ্জারের চেয়েও বেশি বলে জানিয়েছে ইনডিপেনডেন্ট।

এ দৃশ্যপটে ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়তে বললেও, তা নিজের প্ল্যাটফর্মে সেবাগ্রাহক বাড়ানোর চেষ্টা নয় বলে দাবি করেছেন দুরভ।

“আমি এখানে মানুষকে টেলিগ্রাম ব্যবহারের চাপ দিচ্ছি না। টেলিগ্রামের বাড়তি প্রচারণা দরকার নেই।”

“পছন্দমত যে কোনো মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন আপনি। তবে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে দূরে থাকুন – এটি নজরদারির টুল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে গত ১৩ বছর ধরে।”

এ বিষয়ে কথা বলতে হোয়াটসঅ্যাপের মূল কোম্পানি মেটার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ‘দ্য ইনডিপেনডেন্ট’। পুরো বিষয়টিকে ‘রাবিশ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এক মেটা মুখপাত্র।