প্ল্যাটফর্মের জন্য ‘এআই পারসোনা’ তৈরিতে কাজ করছে মেটা

উদীয়মান এই খাতের প্রচেষ্টাকে ‘টার্বোচার্জ’ করার উদ্দেশ্যে নিজস্ব এআই দলগুলোকেও সমন্বিত করছে এই সামাজিক জায়ান্ট।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2023, 01:54 PM
Updated : 28 Feb 2023, 01:54 PM

চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানি গুগল, মাইক্রোসফট ও অন্যান্য বড় নামের তালিকায় এবার যোগ দিচ্ছে সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিক কোম্পানি মেটা।

মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ বলেন, তার কোম্পানি দীর্ঘ মেয়াদে বিভিন্ন ‘এআই পারসোনা’ তৈরির পরিকল্পনা করছে। সেই লক্ষ্যে, কোম্পানিটি এখন একাধিক মিডিয়া ফরম্যাটের জন্য সহায়ক ব্যক্তি খুঁজছে।

“আপনি মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে উন্নত চ্যাটিং ফিচার বা ইনস্টাগ্রামের বিশেষ ফিল্টার ও বিজ্ঞাপনগুলো দেখতে পারেন। এতে বিভিন্ন ভিডিও’র পাশাপাশি ‘মাল্টি-মোডাল’ কনটেন্টগুলোও উপকৃত হতে পারে।” --বলেন জাকারবার্গ। পাশাপাশি, অদূর ভবিষ্যতে কনটেন্ট তৈরি ও প্রকাশে বিভিন্ন টুলের ওপর নির্ভরযোগ্যতা বেড়ে যাওয়া সম্পর্কেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি আরও যোগ করেন, উদীয়মান এই খাতের প্রচেষ্টাকে ‘টার্বোচার্জ’ করার উদ্দেশ্যে নিজস্ব এআই দলগুলোকেও সমন্বিত করছে এই সামাজিক জায়ান্ট।

এই প্রসঙ্গে অতিরিক্ত কোনো তথ্য না দিলেও তিনি সতর্ক করেন, এই উন্নত প্রকল্পের সুফল পাওয়ার আগে ‘বেশ কিছু মৌলিক কাজ’ করতে হবে।

ব্যবহারযোগ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা কোম্পানির কাছে নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালেই নিজেদের মেসেঞ্জার অ্যাপে বিভিন্ন চ্যাটবট চালু করেছিল কোম্পানিটি। এতে কোম্পানির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির চিত্র ফুটে উঠলেও ‘জেনারেটিভ এআই’র ওপর প্রযুক্তি খাতে ক্রমবর্ধমান মনোযোগ অবাক করার মতো কিছু নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।

গুগলের মতো ইন্টারনেট জায়ান্টও মাইক্রোসফট সমর্থিত ওপেনএআই’র কাছ থেকে প্রতিযোগিতামূলক চাপ অনুভব করছে। কারণ, তাত্ত্বিকভাবে এটি কোম্পানির সার্চ ইঞ্জিনের পাশাপাশি অন্যান্য মূল ব্যবসা দূর্বল করে দিতে পারে।

মেটার সর্বশেষ আর্থিক আয়ের হিসাবে জাকারবার্গ বলেন, তিনি কোম্পানিকে জেনারেটিভ এআই খাতের ‘নেতৃস্থানীয়’ পর্যায়ে দেখতে চান। তবে, এই বক্তব্য কিছুটা ‘আত্মরক্ষামূলক’ও হতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেছে এনগ্যাজেট।

সেইসঙ্গে এই পরিবর্তন ভালো কোনো সময়ে আসেনি। কারণ, মেটার আর্থিক আয় এখনও নিম্নগামী। এর পেছনে কাজ করেছে মেটাভার্সের উদ্দেশ্যে রিয়ালিটি ল্যাবস বিভাগে কোম্পানির শত শত কোটি ডলার খরচ।

কোম্পানির খরচ কমানো ও প্রতিকূল অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় টিকে থাকার লক্ষ্যে সম্প্রতি প্রায় ১১ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে মেটা। এদিকে, ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যবহারকারী বাড়লেও, কোম্পানির আগের মতো স্থিতিশীল অবস্থায় নেই বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট।