এসইসি’র কর্মকর্তারা জানতে চান, টুইটারের স্টক কেনার সময় তিনি আইন মেনে বিভিন্ন নথি পূরণ করেছিলেন কি না ও এ চুক্তি সম্পর্কে তিনি যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, সেগুলো সত্য কি না।
Published : 12 Feb 2024, 05:37 PM
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার (পরে নতুন ব্র্যান্ডিংয়ে এক্স হওয়া) অধিগ্রহণ সংশ্লিষ্ট মামলায় সাক্ষ্য দিতে কোম্পানিটির মালিক ইলন মাস্ককে তৃতীয়বারের মতো তলব করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।
মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)’র সামনে নির্ধারিত তারিখে মাস্ক উপস্থিত না হওয়ার পর গেল শনিবার রাতে এ আদেশ জারি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক লরেল বিলার।
বিচারক বলেছেন, এসইসি’র তদন্ত ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক ও তারা বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক তথ্য চাচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে সংস্থাটির সমন গ্রহণ না করে নিয়ন্ত্রকদের সামনে ‘হাজির হননি’ মাস্ক।
গত বছরের অক্টোবরে টেসলার মালিক মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল এসইসি, যেখানে চার হাজার চারশ কোটি ডলারে তার টুইটার অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তে তার কাছে সহযোগিতা চেয়েছিল সংস্থাটি।
এসইসি’র কর্মকর্তারা জানতে চান, টুইটারের স্টক কেনার সময় তিনি আইন মেনে বিভিন্ন নথি পূরণ করেছিলেন কি না ও এ চুক্তি সম্পর্কে তিনি যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, সেগুলো সত্য কি না।
ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল আদালতের আদেশ অনুসারে, মাস্ক এ শুনানিতে যোগ দিতে চান না কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি গণমাধ্যমের কাছে বিভিন্ন তথ্য ফাঁস করেছে।
টুইটারে নিজের মালিকানা সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশে বিলম্ব করার অভিযোগে এ নিয়ে তৃতীয়বার মাস্ককে সাক্ষ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এসইসি। এর আগে ২০২২ সালেও দুইবার তাকে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করেছে সংস্থাটি।
মাস্কের দাবি, তাকে তৃতীয়বার তলব করা ‘স্রেফ হয়রানি’।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রযুক্তি জায়ান্ট কোম্পানির মতই মার্কিন সরকার বেশ কিছু বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে মাস্কের বিরুদ্ধে।
সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত রাখতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে গত বছরের নভেম্বরে আরেক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)’র রোষানলেও পড়েছেন তিনি।
ওই শুনানির ফলাফলকে ‘কোনো সরকারি সংস্থাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সত্য লুকানোর মতো লজ্জাজনক ঘটনা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন মাস্ক।
২০১৮ সালেও বিতর্কের মুখে পড়েছেন মার্কিন এ ধনকুবের, যখন টেসলাকে ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানি করা নিয়ে নিজস্ব প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি টুইট করেছিলেন, “ফান্ডিং সিকিওর্ড”।
তবে, তার ওই বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে বলে সে সময় যুক্তি দেখিয়েছিল বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পরবর্তীতে অবশ্য মাস্ক এ আদেশ মানতে রাজি হন যে, টেসলাকে তার বিভিন্ন টুইট পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা দেওয়া হবে। তবে, পরবর্তীতে এ চুক্তি লঙ্ঘন করে পুনরায় মামলার মুখে পড়েন মাস্ক।