“আমাকে অনুকরণ করা অননুমোদিত এআইয়ের তৈরি কণ্ঠস্বরের বিষয়ে সতর্ক করার জন্য এবং সমর্থনের জন্য আমার ভক্তদের ধন্যবাদ।”
Published : 01 Jul 2024, 03:41 PM
পরিমিত আবেগ আর স্পষ্ট উচ্চারণে সিনেমায় কোনো ঘটনা বর্ণনার জন্য আদর্শ পুরুষ কণ্ঠ যদি বেছে নিতে হয়, সিনেমার ভাষায় যাকে বলে 'ন্যারেট' করা, সম্ভবত অধিকাংশ সিনেমাভক্ত বেছে নেবেন মর্গান ফ্রিম্যানের কণ্ঠস্বর। সেই কণ্ঠস্বর এআইয়ের লোভ এড়াতে পারবে না, এ আর এমন কী!
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে `দ্য শশ্যাঙ্ক রিডেম্পশন’ অভিনেতার কণ্ঠস্বর পুনরায় তৈরি করা হয়েছে বলে সতর্ক করেছে ভক্তরা। আর তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন অস্কার জয়ী ৮৭ বছর বয়সী এ অভিনেতা।
“আমাকে অনুকরণ করা অননুমোদিত এআইয়ের তৈরি কণ্ঠস্বরের বিষয়ে সতর্ক করার জন্য এবং সমর্থনের জন্য আমার ভক্তদের ধন্যবাদ।” – সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর এক পোস্টে লেখেন ফ্রিম্যান।
“আপনাদের এ অবদান সত্য ও সততাকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। আমি কৃতজ্ঞ।”
Thank you to my incredible fans for your vigilance and support in calling out the unauthorized use of an A.I. voice imitating me. Your dedication helps authenticity and integrity remain paramount. Grateful. #AI #scam #imitation #IdentityProtection
— Morgan Freeman (@morgan_freeman) June 28, 2024
‘দ্য শশ্যাঙ্ক রিডেম্পশন’ ছাড়াও ‘ড্রাইভিং মিস ডেইজি’ ও ‘মিলিয়ন ডলার বেইবি’র মতো প্রসংশিত সব সিনেমায় অভিনয় করা ফ্রিম্যান, এআই নিয়ে ঠিক কী ধরনের সমস্যায় পড়েছিলেন সেটি তার পোস্টে স্পষ্ট নয় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
তবে, একজন টিকটক ইনফ্লুয়েন্সার এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফ্রিম্যানের কণ্ঠস্বর তৈরি করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে, যেখানে ওই ইনফ্লুয়েন্সার নিজেকে জনপ্রিয় এ অভিনেতার ভাগ্নী বলে মজা করেছেন।
এ ছাড়া, একজন ডিপফেইক নির্মাতা ২০২২ সালে ফ্রিম্যানের একটি এআই জেনারেটেড ভিডিও তৈরি করেছিলেন।
অস্কার জয়ী তথ্য চিত্র “মার্চ অফ দ্য পেঙ্গুইনস” ও সম্প্রতি প্রকৃতি বিষয়ক অনুষ্ঠান “লাইফ অন আওয়ার প্ল্যানেট অ্যান্ড আওয়ার ইউনিভার্স” অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে নিজের কণ্ঠস্বর দিয়েছেন কিংবদন্তি এ অভিনেতা।
এ বছরই, ‘ব্ল্যাক উইডো’ খ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসনের কণ্ঠস্বর নকলের অভিযোগ উঠেছে চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে। কণ্ঠস্বরটি জোহানসনের কণ্ঠের সঙ্গে ভয়ংকর ভাবে একইরকম শোনা গেছে, এতে অবাক হয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইনডিপেন্ডেন্ট।
সে সময়, চ্যাটোবট থেকে কণ্ঠস্বরটি সরিয়ে নিতে আইনজীবীদের দারস্থ হয়েছিলেন জোহানসন। ঠিক কী প্রক্রিয়ায় কোম্পানি এ কণ্ঠস্বর তৈরি করেছে, সেটি নিয়ে ওপেনএআই সিইও স্যাম অলটম্যানকে চিঠি লিখেছিলেন ওই আইনজীবীরা। জোহানসনের ভাষায়, এর প্রতিক্রিয়ায় “অনিচ্ছায়” স্কাই নামের ভয়েসটি নামিয়ে ফেলতে বাধ্য হয় ওপেনএআই।
এদিকে, স্কাইয়ের কণ্ঠ যে স্কারলেট জোহানসনের আদলে তৈরি, সে অভিযোগ ক্রমাগতই নাকচ করে এসেছে ওপেনএআই। এমনকি কণ্ঠস্বরটি সরিয়ে ফেলার সময়ও নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে মাইক্রোসফট সমর্থিত এআই কোম্পানিটি।