“প্রাডার বিভিন্ন ধরনের ফাইবার নিয়ে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা আছে। আর নতুন স্পেস স্যুটের বাইরের স্তরে প্রযুক্তিগত অবদানও রাখতে পারে কোম্পানিটি।”
Published : 07 Oct 2023, 01:06 PM
নাসার নভোচারীরা ২০২৫ সালের সম্ভাব্য চন্দ্রাভিযানে যাবেন ‘স্টাইল বজায় রেখে’। কারণ মিশনটির স্পেস স্যুট নকশা করছে ঐতিহ্যবাহী ফ্যাশন ডিজাইনার কোম্পানি প্রাডা।
বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতালির এই ফ্যাশন হাউজের পাশাপাশি স্যুটের নকশার পেছনে কাজ করবে প্রাইভেট কোম্পানি ‘এক্সিওম স্পেস’।
এক্সিওম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, কাঁচামাল সরবরাহ ও পোশাক তৈরির মাধ্যমে এ প্রকল্পে নিজস্ব দক্ষতার ছাপ রাখবে প্রাডা।
বিবিসিকে এক নভোচারী বলেন, তিনি মনে করেন, নকশা নিয়ে অভিজ্ঞতা থাকায় প্রাডা এ চ্যালেঞ্জ উৎরাতে পারবে।
ওই অভিজ্ঞতা কেবল মিলানে ক্যাটওয়াক থেকেই তৈরি হয়নি, বরং পালতোলা নৌকার প্রতিযোগিতা ‘আমেরিকা’স কাপ’-এ প্রাডার সম্পৃক্ত হওয়ার মাধ্যমেও এসেছে।
“প্রাডার বিভিন্ন ধরনের কাপড় নিয়ে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা আছে। আর নতুন স্পেস স্যুটের বাইরের স্তরে প্রযুক্তিগত অবদানও রাখতে পারে কোম্পানিটি।” --বলেন নাসার পাঁচটি মিশন ও চারটি স্পেসওয়াক চালানো অধ্যাপক জেফ্রি হফম্যান।
তিনি আরও বলেন, নভোচারীরা ‘পেইসলি’ বা এই ধরনের কোনো নকশার স্পেস স্যুট’ পড়বেন, এমন ধারণা রাখা অবান্তর। এ ছাড়া, পরিবেশের সঙ্গে তাপমাত্রার সামঞ্জস্য রাখার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
“স্পেস স্যুট আসলে আকারে ছোট নভোযানের মতো। এতে অনুকূল তাপমাত্রা রাখার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত চাপ ও অক্সিজেন।”
এই বছরের শুরুতে নতুন এক স্পেস স্যুট দেখিয়েছিল এক্সিওম। সে সময় কোম্পানি বলেছিল, আসন্ন আর্টেমিস ৩ মিশনে এটি পরবেন নভোচারীরা।
ওই স্যুটের ভর ছিল ৫৫ কেজি। আর নারীরা এতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন বলে দাবি করেছিল কোম্পানিটি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আর্টেমিস ও প্রাডা বলেছে, তারা এতে ‘উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও নকশা’ ব্যবহার করবে, যা ‘চাঁদের পৃষ্ঠে এমন কিছু খুঁজে পেতে সাহায্য করবে, যা আগে কখনও হয়নি’।
১৯৭২ সালের অ্যাপোলো ১৭’র পর চাঁদের উদ্দেশ্যে প্রথম যাত্রীবাহী মিশন হবে আর্টেমিস ৩। মিশনটি সফল হলে প্রথম নারী হিসেবে চাঁদে পা রাখা কৃতিত্ব অর্জন করবেন নভোচারী ক্রিস্টিনা কচ।