নাসা বলেছে, এ বিলম্বিত প্রত্যাবর্তনের কারণে নভোযারীদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে আরও বেশি সময় পাবে নাসা ও বোয়িং।
Published : 16 Jun 2024, 04:25 PM
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় থাকতে হচ্ছে বিপদে পড়া বোয়িংয়ের নভোযান স্টারলাইনারকে।
এর মানে দাঁড়ায়, এ মাসের শুরুতে নভোযানটিতে চড়ে মহাকাশ স্টেশনে যাওয়া নভোচারীদের ফিরে আসার নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ২২ জুনের পরও সম্ভবত তাদের মহাকাশ স্টেশনেই কাটাতে হবে।
নাসা বলেছে, এ বিলম্বিত প্রত্যাবর্তনের কারণে নভোযারীদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে আরও বেশি সময় পাবে নাসা ও বোয়িং।
৫ জুন স্টারলাইনারে করে আইএসএস-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন নাসার দুই নভোযারি বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামস। আর তারা মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছান এর পরের দিন। তবে, ২৪ ঘণ্টার এই ফ্লাইটে মহাকাশযানটি থেকে চারবার হিলিয়াম ছিদ্র দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এর ২৮টি সক্রিয় থ্রাস্ট্রারের মধ্যে পাঁচটি বন্ধ হয়ে যায়।
“এই অতিরিক্ত সময় মিশনের দলটিকে নভোচারীদের আইএসএস ছাড়ার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করার সুযোগ দেবে, যেখানে ফ্লাইটের নিয়ম অনুযায়ী নভোযানটিতে করে ক্রুর সদস্যদের জরুরী প্রত্যাবর্তনের সম্ভাব্য প্রেক্ষাপটগুলোও ঘেঁটে দেখা যাবে,” এক বিবৃতিতে বলেছে নাসা ও বোয়িং।
ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, ২২ জুনের আগে নভোচারীদের আইএসএস ছাড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই, যার ফলে তারা মহাকাশ স্টেশনে আরও সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন। ভবিষ্যতে স্টারলাইনারের জন্য ছয় মাসের মিশন নকশা করা হলেও, এবারের মিশনে নভোচারীরা মহাকাশ স্টেশনে কাটাতে পারবেন সর্বোচ্চ ৪৫ দিন।
অনুমান বলছে, আইএসএস থেকে নভোচারীদের পৃথিবীতে ফিরে আসতে সময় লাগতে পারে প্রায় ছয় ঘণ্টা। আর স্থানীয় আবহাওয়ার ওপর ভিত্তি করে তারা অবতরণ করতে পারেন ইউটাহ মরুভূমির কোনো এক অংশে, নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে অথবা অন্য কোনো জায়গায়।
স্টারলাইনারের যাত্রীবাহী প্রথম ফ্লাইটটি এই বিলম্বিত ও খরচসাপেক্ষ প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক চূড়ান্ত পরীক্ষা। কারণ এর ভিত্তিতেই স্পেসক্রাফটটিকে নিয়মিত যাত্রীবাহী মিশন পরিচালনার অনুমতি দেবে নাসা।
এর ফলে, স্পেসএক্স’র ‘ক্রু ড্রাগন’-এর পাশাপাশি দ্বিতীয় যাত্রীবাহী মার্কিন নভোযান হিসেবে নিয়মিত যাত্রীবাহী মিশন পরিচালনার সুযোগ পাবে বোয়িং।