বহুদিন ধরে চলমান বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কার্যকর করা হয়েছে নেট নিরপেক্ষতা আইন। এর ফলে সাধারণ ওয়েব ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে নেটফিক্স বা হুলুর মত বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়েব জগতে সমান সুবিধা পাবে।
Published : 14 Jun 2015, 05:57 PM
ম্যাশএবল জানিয়েছে, কেবল এবং ফোন কোম্পানিগুলোর তীব্র আপত্তির সত্ত্বেও যুক্ত্ররাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আদালতের বিচারক গত ১২ জুন নেট নিরপেক্ষতা আইনের পক্ষে রায় দেন। এর ফলে এখন থেকে দেশটির কেন্দ্রীয় যোগাযোগ কমিশন নেট নিরপেক্ষতা বাস্তবায়ন করতে কাজ করবে।
নেট নিরপেক্ষতা আইন অনুযায়ী ওয়েব জগত এখনকার মতই চলবে। তবে এখন থেকে এটি অ্যান্ড টি, কমকাস্ট, ভেরাইজনের মত কেবল বা ফোন কোম্পানিগুলো দ্রুতগামী সার্ভিসের নামে নেটফ্লিক্স বা অন্যান্য মিডিয়া স্ট্রিমিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করতে পারবেনা।
ইতোপূর্বে ওয়েব জগত মূলত দুটি ধারায় বিভক্ত ছিল। এর ফলে সাধারণ মানুষদের জন্য ইন্টারনেট ছিল ধীর গতির এবং তুলনামূলক দ্রুত ওয়েব স্পিডের জন্য কমকাস্ট বা এটি এন্ড টির মত ব্রডব্যান্ড কোম্পানিগুলোকে মোটা অংকের অর্থ দিতে হত।
নেট নিরপেক্ষতা বন্ধের জন্য কেবল এবং ফোন কোম্পানিগুলো লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করে বলে জানিয়েছে ম্যাশএবল। তাদের দাবি ছিল নেট নিরপেক্ষতার ফলে সবাই সমান সুযোগ পেলে পুরো সিস্টেম ভেঙ্গে পড়তে পারে।
অন্যদিকে, দ্রুতগামী সার্ভিসে অতিরিক্ত চার্জের ফলে বেশিরভাগ মানুষই ধীরগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন বলে মনে করেন নেট নিরপেক্ষতা আইনের পক্ষে থাকা আইনজীবীরা।
ইতোমধ্যে ফেইসবুক, টুইটার, নেটফ্লিক্স এবং অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো নেট নিরপেক্ষতার সপক্ষে সরব হয়েছে বলে জানিয়েছে ম্যাশএবল। নেট নিরপেক্ষতার ফলে আর্থিক সুবিধার পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তারা অনুপ্রাণিত হবেন বলে অভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
নেট নিরপেক্ষতা আইন বাস্তবায়নের ফলে আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ গ্রাহকরা খুব একটা পরিবর্তন উপলব্ধি করবেন না বলে জানিয়েছে ম্যাশএবল। তাই নেটফ্লিক্সে স্ট্রিমিং করা বা ব্রডব্যান্ড কোম্পানিগুলোর হাই স্পিড ইন্টারনেট সুবিধা আগের মতই চলবে।
অবশ্য, বিভিন্ন কেবল কোম্পানি এবং স্ট্রিমিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরারসরি প্রতিদ্বন্ধিতা থাকায় জটিল এবং বিরোধপূর্ন রোড সিস্টেম তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে ম্যাশএবল।