দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ‘বিপজ্জনক’ গেইম বন্ধে মোবাইল ডেটা ব্যবসায় তেমন প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে অপারেটররা।
Published : 19 Aug 2021, 04:50 PM
তবে এসব গেইম বন্ধ করাই একমাত্র সমাধান নয় বরং বিকল্প উপায়ে এসব কনটেন্ট ব্যবহারের সুযোগ থাকায় অনেকাংশেই তা বন্ধ করা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন অপারেটরগুলোর কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব আয়োজিত এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য আসে।
গত ১৬ অগাস্ট দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ এ ধরনের ‘বিপজ্জনক’ সব গেইম তিন মাসের জন্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
‘বিপজ্জনক’ গেইম বন্ধে হলে ডাটা ব্যবসায় প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম বলেন, এসব গেইম বন্ধে ইন্টারনেট ব্যবসায় তেমন প্রভাব পড়বে না। ইন্টারনেটর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে।
এ ধরণের অ্যাপ বা গেইম বন্ধ কোনো সমাধান নয় জানিয়ে শাহেদ আলম বলেন, “ বিকল্প উপায়ে ভিপিএন বা অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজেই এসব ব্যবহার করা যায়, তাই সহজেই এগুলো চালাতে পারবে। এজন্য সামাজিকভাবে সচেতনতা ও অভিবাবকদের আরো নজরদারি করতে হবে।”
বিটিআরসির হিসাবে, গত জুন নাগাদ দেশে চার অপারেটরের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটির বেশি।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে বেসরকারি নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন সেবাদাতা (এনটিটিএন) এবং ইন্টারনেট গেইটওয়ে (আইআইজি) ট্যারিফ বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
এ দুই ক্ষেত্রে ট্যারিফ বেঁধে দেওয়ায় মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমার সম্ভবনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে শাহেদ আলম বলেন, “ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় দাম নিয়ে সমস্যার কারণে এসব ট্যারিফ বেঁধে দেওয়া হয়েছে, আমরা মনে করি মোবাইল খাতে এ ধরণের সমস্যা নেই, তাই ট্যারিফ বেঁধে দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।”
বিভিন্ন ইন্টারনেট প্যাকেজে অব্যবহৃত ডেটা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না বলে গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “একই প্যাকেজে সব সময় অব্যবহৃত ডেটা ফেরত দেওয়া হয় আর এসব বিষয়ে সবসময় নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী অপারেটররা ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।”
অনুষ্ঠানে মোবাইল সেবার মান নিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন অপারেটরগুলোর কর্মকর্তারা।
গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হোসেন সাদাত বলেন, “মোবাইল সেবা বিষয়টি অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে। অন্যান্য দেশে সেবার বিভিন্ন ধাপে লাইসেন্স নেই। আমাদের আইআইজি, আইসিএক্স, আইজিডব্লউ, টাওয়ারসহ ফাইবার কেবল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে আলাদা আলাদা ব্যবসা রয়েছে, তাই সমস্যাগুলো হচ্ছে। অপারেটরদের এসব লাইসেন্স থাকলে সেবা আরো উন্নত করা যেত।”
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “মোবাইল সেবার মান উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তরঙ্গের (স্পেকট্রাম) উচ্চ মূল্যসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সাথে সবসময় কাজ করা হচ্ছে।”
ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেটের ধীরগতির বিষয়ে অ্যামটব মহাসচিব এস এম ফরহাদ বলেন, “ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে উঁচু ভবন উঠে যাচ্ছে, এসব ভবনের কারণেও সমস্যা হচ্ছে, বিষয়গুলো সমাধানে আমরা সব সময় চেষ্টা করে থাকি।”