কর্মীদেরকে জাকারবার্গ বলেন, বিজ্ঞাপন বয়কটের কারণে তিনি ‘নতি স্বীকার করতে’ রাজি নন। “আমার ধারণা এই বিজ্ঞাপনদাতারা শীঘ্রই প্ল্যাটফর্মে ফেরত আসবে।” - বলেন তিনি।
জাকারবার্গ আরও বলেন, “আমাদের আয়ের ছোট একটি অংশ বা যে কোনো অংশে হুমকির কারণে আমরা আমাদের নীতিমালা বা পদক্ষেপ বদলাবো না,”-- খবর আইএএনএস-এর।
ফেইসবুক বিজ্ঞাপনে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরুচে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধু তিন প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট, স্টারবাকস এবং ফাইজার বিজ্ঞাপন স্থগিত করেছে।
বুধবার থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞাপন বয়কট শুরু করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যেই বিজ্ঞাপন স্থগিত করেছে চারশ’র বেশি ব্র্যান্ড।
প্ল্যাটফর্মে ক্ষতিকর কনটেন্ট সরাতে আগের চেয়ে ভালো কাজ হচ্ছে এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য থেকে লাভের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ফেইসবুক।
বুধবার বিজ্ঞাপনদাতাদের বিষয়ে ফেইসবুকের বৈশ্বিক জনসংযোগ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেইগ বলেন, “ফেইসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো সমাজের একটি আয়না।”
“আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই: বিদ্বেষ থেকে লাভ করে না ফেইসবুক,” বলেন ক্লেইগ, যিনি আগে যুক্তরাজ্যের উপপ্রধান মন্ত্রী ছিলেন।
ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন বয়কট প্রচারণা প্রথমে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে সীমাবদ্ধ ছিল। ইতোমধ্যে এটি বৈশ্বিক পর্যায়ে শুরুর পরিকল্পনা সাজিয়েছেন আয়োজকরা।
বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সরানোর লক্ষ্যে ফেইসবুকের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্যই এই আন্দোলন চলছে। শনিবার কমন সেনস মিডিয়া’র প্রধান নির্বাহী জিম স্টায়ার জানান, খুব শীঘ্রই প্রধান ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বয়কটে যোগ দিতে আহবান জানাবে ‘স্টপ হেইট ফর প্রফিট’ প্রচারণা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত পোস্টের অনুমোদন দেওয়ার কারণেই ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন বয়কটের ডাক দিয়েছে বিজ্ঞাপনদাতারা।
এরইমধ্যে বয়কটের মুখে প্রশ্নবিদ্ধ পোস্টে লেবেল সাঁটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফেইসবুক। শুক্রবার এক লাইভস্ট্রিমে এ ব্যাপারে জানিয়েছেন ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নন বিজ্ঞাপন বয়কট প্রচারণার আয়োজকরা।
গত বছর ফেইসবুকের আয় হয়েছে প্রায় সাত হাজার কোটি ডলার, যার ৯৮ শতাংশ এসেছে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে।